মিরাটে গণধর্ষণের পর ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে, উত্তাল সারওয়া গ্রাম
সাহারনপুরের পর এবার মিরাট। গণধর্ষণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তুললেন এক মাদ্রাসা শিক্ষিকা।
মিরাট: সাহারনপুরের পর এবার মিরাট। গণধর্ষণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তুললেন এক মাদ্রাসা শিক্ষিকা।
সারওয়া গ্রামে মাদ্রাসায় হিন্দি ও ইংরেজি পড়াতেন ২০ বছরের ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, গত ২৩ জুলাই তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় হাপুরের মাদ্রাসায়। সেখান থেকে পরে মুজাফ্ফরনগরে। সেখানেই গণধর্ষণের পর তাঁকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকী, তার নামও পাল্টে ফেলতে বলা হয়। এরপর ২ অগাস্ট তিনি ওখান থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযাগ করতে সক্ষম হন। পরে পুলিসে অভিযোগ জানানো হয়।
এফআইআরে নাম থাকা ৪ জনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এরা হলেন গ্রামর প্রধান ও এক মাদ্রাসা আধিকারিক। আরও দুজনের খোঁজ চলছে। বহিষ্কৃত করা হয়ে গ্রামর এসএইচওকেও। পরে অভিযোগকারিনী জানান, মুজফ্ফরনগর মাদ্রাসায় তিনি দেখেছিলেন আরও ৪০ জন মহিলাকে অন্য একটি গোপন ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
চাপ বাড়ায় ও বিজেপি নেতারা ক্রমাগত তদন্ত দাবি করায় উত্তর প্রদেশ পুলিস তল্লাসি চালিয়ে ওই মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন মহিলাকে খুঁজে পায় যারা মাদ্রাসারই ছাত্রী। এমনকী, গোপন ঘরের হদিসও পায়নি পুলিস। গতকালও মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয় অভিযোগকারিনী। গোটা ঘটনার সঙ্গে কোনও অঙ্গ পাচারকারী চক্রের যোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, গ্রামের প্রধান নবাব খান, মৌলবী সালাউল্লাহ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে নিশান্ত।