মেয়ের শবদাহ করবেন বাবা, রাজি হলেন সরকারের ক্ষতিপূরণে

অবশেষে কাটল ৪ দিনের অচলঅবস্থা। ১৬ বছরের মেয়ের শবদাহের জন্য রাজি হলেন নির্যাতিতার বাবা। মেনে নিলেন পাঞ্জাব সরকারের প্রস্তাব। মেয়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণে রাজি হলেন নির্যাতিতার বাবা। সরকারের তরফে নির্যাতিতার পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটিতেও রাজি হলেন তিনি। পাঞ্জাব সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা দেবে, নির্যাতিতার মা পাবেন সরকারি চাকরি এবং হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার মায়ের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে সরকার। প্রথমে রাজি না হলেও পরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের হস্তক্ষেপ ও অভিযুক্ত ৪ জনের গ্রেফতারিতে পাঞ্জাব পুলিসের তৎপরতা নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়।      

Updated By: May 3, 2015, 09:54 PM IST
মেয়ের শবদাহ করবেন বাবা, রাজি হলেন সরকারের ক্ষতিপূরণে

মোগা: অবশেষে কাটল ৪ দিনের অচলঅবস্থা। ১৬ বছরের মেয়ের শবদাহের জন্য রাজি হলেন নির্যাতিতার বাবা। মেনে নিলেন পাঞ্জাব সরকারের প্রস্তাব। মেয়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণে রাজি হলেন নির্যাতিতার বাবা। সরকারের তরফে নির্যাতিতার পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটিতেও রাজি হলেন তিনি। পাঞ্জাব সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা দেবে, নির্যাতিতার মা পাবেন সরকারি চাকরি এবং হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার মায়ের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে সরকার। প্রথমে রাজি না হলেও পরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের হস্তক্ষেপ ও অভিযুক্ত ৪ জনের গ্রেফতারিতে পাঞ্জাব পুলিসের তৎপরতা নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়।      

রাতে বাড়ি ফিরছিলেন কৃষক পরিবারের ১৬ বছরের মেয়ে। সঙ্গে ছিলেন মা ও ভাই। বাসের মধ্যেই তাদের উত্যক্ত করেন কিছু যুবক। নির্যাতিতার মা সেইসময় প্রতিবাদও করেন। বাসের ড্রাইভারকে বাস থামাতে বলা হলে, বাসের গতি আরও বাড়িয়ে দেন বাস চালক। এরপর কোনও উপায় না দেখে বাস থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৬ বছরের মেয়ে। আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা ৩৬ বছরের মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

এরপর কেটে গেছে ৪ দিন। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ছিল অরবিট বাস সার্ভিসের মালিক পাঞ্জাবের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলের বিরুদ্ধে কেস করতে হবে এবং বাতিল করতে হবে অরবিট বাস সার্ভিসের লাইসেন্স।

সকারের ক্ষতিপূরণে রাজি হওয়ার পর নির্যাতিতার বাবা জানান, "মেয়ের ময়নাতদন্তের জন্যও আমাকে কোনোভাবে জোর কড়া হয়নি। আমি ক্ষতিপূরণও দাবি করিনি। সরকার যা দেবে তা আমার কাছে যথেষ্ট। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।"  

.