২৬/১১ মামলায় ২ পাক সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারি মুম্বই আদালতের
গত ২১ জানুয়ারি সরকারি কৌঁসুলি উজ্বল নিকমের আবেদনে এই নির্দেশ দিলেন বিচারক এস ভি ইয়ারলাগাড়া
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৬/১১ মামলায় দুই পাক সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল মুম্বইয়ের দায়রা আদালত। ওই দুই সেনা অফিসার হলেন মেজর আবদুল রেহমান পাশা এবং মেজর ইকবাল। সেনা থেকে মেজর ইকবাল অবসর নিলেও এখন পর্যন্ত আইএসআই অফিসার পদে রেহমান পাশা কাজ করে যাচ্ছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন- লোকসভার আগে দরাজ কেন্দ্র, জম্মু ও কাশ্মীরে ২ এইমস, লাদাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস মোদীর
গত ২১ জানুয়ারি সরকারি কৌঁসুলি উজ্বল নিকমের আবেদনে এই নির্দেশ দিলেন বিচারক এস ভি ইয়ারলাগাড়া। ২৬/১১ হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি সইদ জ়াবিউদ্দিন আনসারি ওরফে আবু জান্দল বিরুদ্ধে মামলায় ওই দুই পাক সেনা অফিসারের ভূমিকার কথা জানানো হয়। লস্কর জঙ্গি ডেভিড কলেম্যান হেডলির সাক্ষ্য ভিত্তিতে ওই দুই সেনা গ্রেফতারের আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী।
আরও পড়ুন- বান্ধবীদের তুষারপাত দেখাতে কয়েক লাখ টাকার সুপার বাইক চুরি, রাজধানীতে গ্রেফতার ২
২৬/১১ হামালায় অন্যতম চক্রী হেডলি এই মুহূর্তে মার্কিন জেলে বন্দি রয়েছেন। সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়। হেডলির বয়ান অনুযায়ী, ২৬/১১ হামলা শুধুমাত্র লস্কর-ই-তইবা জড়িত নয়, এর সঙ্গে পাক সেনার প্রত্যক্ষ মদত ছিল। হামলার পরিকল্পনার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাশা এবং ইকবাল। হেডলির বিস্ফোরক দাবি, ভারতে চরবৃত্তি করতে ২৫ হাজার ডলার দেন মেজর ইকবাল। এমনকি এই কাজের জন্য মেজর পাশার থেকেও ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তিনি। হেডলির আরও দাবি, মুম্বইয়ে ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, শিবসেনার সদর দফতর ‘সেনা ভবন’ সম্পর্কে গোপন তথ্য তাঁর থেকে জানতে চেয়েছিল পাক সেনা অফিসাররা।