চিনের কাছ থেকে মলদ্বীপ ছিনিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রে পা রাখলেন মোদী

নতুন সরকারের জমানায় চিন যে ব্রাত্য হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে।

Updated By: Nov 17, 2018, 06:32 PM IST
চিনের কাছ থেকে মলদ্বীপ ছিনিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রে পা রাখলেন মোদী

নিজস্ব প্রতিবেদন: মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত সেপ্টেম্বর চিনপন্থী আবদুল্লা ইয়ামিনকে পরাজিত করেন ইব্রাহিম মহম্মদ সলিথ। 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই মোদীর প্রথম মলদ্বীপ সফর। ২০১১ সালে সে দেশে গিয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। একাধিক টুইটে মোদী বলেছেন,'পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও মানবসম্পদের উন্নয়নে মলদ্বীপে সলিথের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় ভারত সরকার'। মোদী আরও বলেন, ''স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধশালী  ও শান্তিপূর্ণ মলদ্বীপ দেখতে চাই আমরা''। 

গত ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে মলদ্বীপের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে আশ্চর্যজনকভাবে হারিয়ে দেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সলিথ। অবসান হয় দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের। ইয়ামিনের জমানায় চিনের সঙ্গে সখ্যতা দৃঢ় হয়েছিল মলদ্বীপের। সেই সুযোগে ভারতের পড়শি দ্বীপরাষ্ট্রে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিল বেজিং। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি মলদ্বীপে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ইয়ামিন। তারপর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়।

কিন্তু সলিথের জমানায় মলদ্বীপে চিনকে টেক্কা দিয়েছে ভারত। সলিথ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে তাঁর সরকার। চিনা বিনিয়োগ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। সলিথ সরকারের এক মন্ত্রী জানান, ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চিনা ঋণের বোঝা থাকতে পারে মলদ্বীপের মাথায়। আর্থিক সহযোগিতার জন্য ভারত, সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দরবার করেছেন তাঁরা। 

নতুন সরকারের জমানায় চিন যে ব্রাত্য হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। মলদ্বীপের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে চিনের তরফে থাকবেন সাংস্কৃতিক ও পর্যটন মন্ত্রী লু সুগাং। এতেই স্পষ্ট, শাসক বদলের সঙ্গে মলদ্বীপের প্রেক্ষাপটও বদলে গিয়েছে। বলে রাখি, মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ভারতকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছিল বেজিং। কিন্তু সেই কৌশল ব্যুমেরাং হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় মত্স্যজীবীদের মুক্তির কথা ঘোষণা করে সন্ধির বার্তা পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ভারতের দক্ষিণ উপকূলের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে এই দুই দেশকে পাশে রাখা অত্যন্ত দরকার।    

আরও পড়ুন- রাজস্থানে বসুন্ধরা শিকারে রাজপুত 'যোদ্ধা' নামিয়ে বড় চমক রাহুল গান্ধীর

.