বেঙ্গালুরুর 'গণশ্লীলতাহানি'তে এখনও গ্রেফতার শূন্য
সেই রাত ভুলতে পারছেন না কেউ। বছরের শেষ রাত, তার একটু পরেই চলতি বছরকে বাসি করে দিয়ে নতুন বছর আসবে। নতুন বছরের আগমণের সাক্ষী থাকতে অজস্র মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর রাস্তায়। সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু, তবে নববর্ষের নয়, অপ্রত্যাশিত অসভ্যতার। নতুন বছরকে বরণ করার আনন্দ তথন ফিকে হয়ে গেছে। কোনও সভ্য সমাজে প্রকাশ্য রাস্তায় অসংখ্য মানুষের সামনে এমনও সম্ভব- এই বিস্ময়টাই সকলের চোখেমুখে! কী হয়েছিল সেই রাতে?
ওয়েব ডেস্ক: সেই রাত ভুলতে পারছেন না কেউ। বছরের শেষ রাত, তার একটু পরেই চলতি বছরকে বাসি করে দিয়ে নতুন বছর আসবে। নতুন বছরের আগমণের সাক্ষী থাকতে অজস্র মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর রাস্তায়। সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু, তবে নববর্ষের নয়, অপ্রত্যাশিত অসভ্যতার। নতুন বছরকে বরণ করার আনন্দ তখন ফিকে হয়ে গেছে। কোনও সভ্য সমাজে প্রকাশ্য রাস্তায় অসংখ্য মানুষের সামনে এমনও সম্ভব- এই বিস্ময়টাই সকলের চোখেমুখে! কী হয়েছিল সেই রাতে?
আরও পড়ুন- বারামুলায় নিহত ১ জঙ্গি, খোঁজ চলছে আরেক সন্দেহভাজনের
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, রাত ১১টার পর থেকেই জনতার ঢল নামে ভারতের সিলিকন ভ্যালির এম.জি. রোড এবং ব্রিগেড রোডে। মটরবাইক, চার চাকায় ছয়লাম নৈশ নগরী। চলছে হুল্লোড়। আর তারই মধ্যে মেয়েদের সঙ্গে লাগাতার অভব্যতা। জোর করে মহিলাদের জাপটে ধরা, শরীরের আপত্তিকর অংশ স্পর্শ করা, হেনস্থা এবং কুমন্তব্য। রাস্তায় দাড়ানো পুলিসকে বারংবার বলেও তেমন একটা সক্রিয় করা যায়নি। ঘটনার ৭২ ঘন্টা পার হওয়ার পরও গ্রেফতার হয়নি কেউ। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একের পর এক ভিডিও ও স্টিল ছবিতে স্পষ্ট সেই রাতের 'গণশ্লীলতাহানি'র চিত্র। অনেক ক্ষেত্রেই হেনস্থাকারীদের ছবিও পরিষ্কার। প্রাপ্তি বলতে এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখনিসৃত বাণী, "বছেরর শেষ রাত বা বড়দিনে এমন হয়েই থাকে। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যথেষ্ট পুলিস উপস্থিত ছিল রাস্তায়"। নিগৃহীতাদের চোখেমুখে হতাশা স্পষ্ট, আর একটাই জিজ্ঞাসা, আমাদের দেশে নারীরা কি সত্যিই নির্ভয়?