কংগ্রেসকে ছাড়া বিরোধী ঐক্য অসম্ভব : শিবসেনা
লোকসভায় এবং বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের আসন একেবারে তলানিতে চলে এলেও, আজও সারা দেশে জাতীয় দল হিসাবে কংগ্রেসের একটা বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও বিরোধী ঐক্যও সম্ভব না, বলে মনে করে শিবসেনা। তবে শিবসেনার এমন মন্তব্যে বিজেপি-র সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যে সেই তিমিরেই রয়েছে তাও ফের স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় এবং বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের আসন একেবারে তলানিতে চলে এলেও, আজও সারা দেশে জাতীয় দল হিসাবে কংগ্রেসের একটা বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও বিরোধী ঐক্যও সম্ভব না, বলে মনে করে শিবসেনা। তবে শিবসেনার এমন মন্তব্যে বিজেপি-র সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যে সেই তিমিরেই রয়েছে তাও ফের স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
বাল ঠাকরের দলের মুখপাত্র 'সমনা'য় সোমবার লেখা হয়েছে, "কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এটাই এখন বিরোধী জোটের সামনে একমাত্র সমস্যা। বিরোধী দলগুলির মধ্যে অনেকেই এই পদের প্রত্যাশী।" তবে, বিজেপির সাফল্যের পিছনে লোকসভায় তাদের নিরঅঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার কথা বললেও, এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকরা অনেকেই যে বিজেপির প্রতি সদয় নয়, সেই ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপি-শিবসেনার কাজিয়া সামনে এসেছে। এমনকি, ২০১৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনেও আলাদা লড়াই করেছে এই দুই দল। তারপর বিভিন্ন ইস্যুতে বড় শরিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে শিবসেনা। এমতাবস্থায় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই চলতি বছরের মে মাসে মাতশ্রীতে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বয়ং অমিত শাহ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে লোকসভা ভোটের আসন সমঝোতা হয়ে গেলেও মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন রফা নিয়ে মতপার্থক্য থেকেই গেছে। এরপর এদিন 'সমনা'র এমন পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করে দিল যে দুই শরিকের ফাটল জোড়া লাগার কোনও আশু সম্ভবনা নেই।