দেশজুড়ে মাস্কের আকাল, জোগান দিতে হাত লাগাল জেলের কয়েদিরা
কেরলের জেলবন্দি কয়েদিরাই তৈরি করবে মাস্ক।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১৫২। চিকিৎসকরা মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যাবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু বাজারে মাস্কের আকাল। কোথাও চড়া দামে বিকোচ্ছে। সেই সমস্য়ার সমাধান করতেই তৎপর হল কেরল সরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক সরবরাহের জন্য় অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বিজয়ন প্রশাসন।
কেরলের জেলবন্দি কয়েদিরাই তৈরি করবে মাস্ক। এমনটাই ট্যুইট করে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি আরও জানান, করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছে কেরল। একগুচ্ছ নীল মাস্কের ছবি পোস্ট করে বিজয়ন লিখেছেন "এই মাস্ক সমস্যা সমাধানের জন্যই।“
আগে যে মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি হত, করোনার জেরে তারই দাম ৪০ টাকা। এন ৯৫ মাস্কের দাম গিয়ে ঠেকেছে ৫০০ দোরগোড়ায়। তাও বাজারে ডুমুরের ফুল মাস্ক। জোগান বাড়ানোর জন্য কেরলের প্রত্যেক জেলে সংযুক্ত হয়েছে টেলারিং শাখা। তিরুঅনন্তপুরম জেলে ১৪ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মাস্ক তৈরির কাজ। এবার থেকে কেরলের প্রত্য়েক জেলেই তৈরি হবে মাস্ক। এমনকি ১০ দিনে ১০ লক্ষ বোতল স্যানিটাইজার প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে রাজ্যের ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস(KSDP) শাখা।
#COVID19 | Solving The Mask Problem
In light of the shortage, directions were given to engage the prisons in the State in manufacturing masks. It has commenced on a war footing basis. Today, the Prison officials of Thiruvananthapuram Jail have handed over the first batch. pic.twitter.com/QKgHWqYNOg
— Pinarayi Vijayan (@vijayanpinarayi) March 14, 2020
আরও পড়ুন-লুধিয়ানায় বেপাত্তা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ১৬৭ জন, শুরু তল্লাশি
কেরলে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ২৭। বার বার করোনা ঠেকানোর জন্য অভিনব উদ্য়োগ নিয়েছে কেরল সরকার। এর আগে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কেরল পুলিসের নাচের মাধ্যমে সতর্কতা প্রচারের ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো জনপ্রিয় হয়েছে। এবার সারা দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয়েছে বিজয়নের এই উদ্যোগও।
বিশ্ব জুড়ে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণকে বিশ্বমারি ঘোষনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা(WHO)। সারা বিশ্বে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮০০০ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। সারা বিশ্ব জুড়েই জোগান নেই পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজারের। এবার বিজয়নের এই উদ্যোগ ফলপ্রসু হলে ভারতের বাজারে মিলবে পর্যাপ্ত মাস্ক। বাঁচবে জীবন।