পুলিসের নির্দেশ, মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ৮ কিমি দূরে হাসপাতালে এলেন বাবা

সংবাদমাধ্যমে মুকুন্দ জানিয়েছেন, পুলিস মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করেনি। বরং আমাকেই হাসপাতালে মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়ে যায়

Updated By: Oct 19, 2018, 02:56 PM IST
পুলিসের নির্দেশ, মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ৮ কিমি দূরে হাসপাতালে এলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদন: গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ নেই। বাধ্য হয়েই ময়না তদন্তের জন্য ৭ বছরের মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে হাসপাতালে এলেন বাবা।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গজপতি জেলার। ২০১৬ সালে ওড়িশার কালাহান্ডি জেলাতেও প্রায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবার হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে চড়িয়ে পায়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার দূরে ঘরে ফিরেছিলেন দানা মাঝি নামে এক ব্যক্তি।

আরও পড়ুন-চোখের জলে আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন হাজার হাজার ভক্ত

 সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় তিতলি তছনছ করে দিয়েছে ওড়িশার গজপতি জেলাকে। সেখানেই আতঙ্কপুর গ্রামে গত ১১ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় মুকুন্দ দোরার ৭ বছরের মেয়ে ববিতা। তার দেহ পাওয়া যায় একটি নালা থেকে।

রাজ্যের ত্রাণ দফতরের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিতলির সময় ধসে চাপা পড়ে ববিতার মৃত্যু হয়। বুঝবার মৃতদেহটি পাওয়া যায় একটি নালার মধ্যে।

এদিকে, ওই লাশ পাওয়ার খবর পেয়েই মুকুন্দ দোরার ঘরে পৌঁছে যায় পুলিস। মুকুন্দ সংবাদমাধ্যমে বলেন, পুলিস এসে মৃতদেহের ছবি তুলে নিয়ে যায়। বলে যায়, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ভবানীপাটনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সংবাদমাধ্যমে মুকুন্দ জানিয়েছেন, পুলিস মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করেনি। বরং আমাকেই হাসপাতালে মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়ে যায়। গরিব মানুষ। গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ আমার নেই। ফলে মেয়ের দেহ বস্তায় পুরো কাঁধে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাই।

আর পড়ুন-গান স্যালুটে দুর্গা বিদায়

এরকম এক ঘটনায় রাজ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কোনও কোনও মহল থেকে সরকারের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এনিয়ে গজপতির জেলাশাসক জানিয়েছেন, ঘটনাটি জানি। এনিয়ে খোঁজ খবর করা হচ্ছে।

.