পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধির ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর গলায়
ফের দাম বাড়তে পারে পেট্রোপণ্যের? শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বক্তব্যে অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত মিলছে। এদিন পঞ্জাবের ভান্টিডায় একটি তৈল শোধনাগার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``দেশে যে পরিমাণ অশোধিত তেল বা গ্যাস উত্পাদিত হয়, তা চাহিদার তুলনায় সামান্য।
ফের দাম বাড়তে পারে পেট্রোপণ্যের? শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বক্তব্যে অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত মিলছে। এদিন পঞ্জাবের ভান্টিডায় একটি তৈল শোধনাগার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``দেশে যে পরিমাণ অশোধিত তেল বা গ্যাস উত্পাদিত হয়, তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ অশোধিত দেল আমদানি করে ভারত। এই বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিরাট অঙ্কের বোঝা বইতে হয়।`` বিশ্ববাজারে যে হারে অশোধিত তেলের দাম বাড়ছে তাতে কেন্দ্রের বোঝাও ক্রমেই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পেট্রোপণ্যের দাম বাস্তবোচিত করা উচিত বলেই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধিররপক্ষে সওয়াল করলেও দেশের দরিদ্র মানুষের দিকে নজর দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। অশোধিত তেলের দামবৃদ্ধির আঁচ যাতে সাধারণ মানুষের ওপর না পড়ে সেজন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। দাম বাড়ানো হলেও গরিব মানুষকে সেই আওতার বাইরে রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও আদতে জ্বালানির দাম কতটা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ শরিকি চাপে এর আগে ডিজেল বিনিয়ন্ত্রণের মতো অপ্রিয় সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকী সম্প্রতি এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে শরিকদের মন রেখে আদৌ দামবৃদ্ধির পথে সরকার হাঁটতে পারবে কি না, তা সময়ই বলবে।