আদালতের মধ্যেই খুন উত্তর প্রদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি
পুলিসের দাবি, অভিযুক্ত নিজেও একজন আইনজীবী। তিনি ঘটনার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আদালত চত্বরের মধ্যেই খুনের অভিযোগ। খুন হলেন উত্তর প্রদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি দারবেশ সিং। বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল আগরার দেওয়ানি আদালত চত্বর।
নিহত দারবেশ দু’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার পর বুধবার তিনি আগরার দেওয়ানি আদালতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ঘটনাটি ঘটে। পুলিসের দাবি, অভিযুক্ত নিজেও একজন আইনজীবী। তিনি ঘটনার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের নিশানায় সিআরপিএফ, শহিদ একাধিক জওয়ান
আগরার অতিরিক্ত পুলিস সুপার প্রবীণ বর্মা জানান, অভিযুক্তের নাম মণীশ শর্মা। মণীশ ওই সভাপতিকে বহুদিন ধরে চিনতেন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে কোনও গোলমাল থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিস। তাই সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে।
পুলিস জানিয়েছে, মণীশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনিই একমাত্র ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবেন বলে পুলিসের দাবি। তাই পুলিস তার জ্ঞান অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাক আকাশপথ ব্যবহার করবেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী
এদিন আগরার দেওয়ানি আদালতে দারবেশ নামে ওই মহিলা আইনজীবীর সংবর্ধনা সভা ছিল। সেই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন মণীশ। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, অনুষ্ঠান যখন চলছিল, তখনই দারবেশকে লক্ষ্য আচমকা তিনটি গুলি চালান মণীশ শর্মা।
পুলিসের দাবি, ঘটনার আকস্মিকতায় সকলের নজর ছিল দারবেশের দিকে। ততক্ষণে মণীশও নিজেকে গুলি করেন। ফলে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দারবেশের। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মণীশকে।
আরও পড়ুন: ফের যোগীর রাজ্যে সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ, লাথি-চড়-ঘুসির পর মুখে প্রস্রাব করে দিল পুলিস!
পুলিস জানিয়েছে, যে আগ্নেয়াস্ত্র ওই মহিলা আইনজীবীকে খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল, তার লাইসেন্স ছিল। সম্ভবত সেই লাইসেন্স মণীশের নামেই ছিল।