ধর্মান্তরণ Racket-এর টার্গেট মূক-বধিররা, গ্রেফতার শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের এক কর্মী
ধৃত একজন Sign Language Expert।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সপ্তাহখানেক আগেই উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরণ ব়্যাকেটের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিস। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন। সোমবার এই চক্রের বিরুদ্ধে আরও বড় সাফল্য পেল উত্তরপ্রদেশ এটিএস (ATS)। ধর্মান্তরণ ব়্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত আরও তিনজনকে পাকড়াও করল পুলিস। যাদের মধ্যে একজন শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কর্মী বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ইরফান খাজা খান নামে ধৃত ওই ব্যক্তি একজন প্রতীক ভাষা বিশেষজ্ঞ (sign language expert )। মূলত মূক ও বধির শিশুদের নিয়ে কাজ করেন তিনি। ধৃত বাকি দু'জনের মধ্যে একজনের নাম আব্দুল মান্নান। অন্যজনের নাম রাহুল ভোলা। ধৃত নিজেও মূক ও বধির। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ADG (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানান, ইরফানের হয়ে কাজ করত ধৃত ভোলা। সে নিজেও মূক ও বধির হওয়ায়, ওই ধরনের শিশুদের চিহ্নিত করা তার পক্ষে সহজ ছিল। সে মূক-বধির শিশুদের ইরফানের কাছে নিয়ে আসত। এরপর সেই শিশুদের ধর্মান্তরণ করা হত। সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ এক্সপার্ট (sign language expert ) হওয়ায়, ইরফান সহজেই শিশুদের সঙ্গে প্রতীকী ভাষায় কথা বলতে পারত। কথার ছলেই শিশু মনে অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষের বীজ বপন করত ধৃত।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ছিলেন জেলবন্দি, অবশেষে দেশে ফিরলেন মানসিক ভারসাম্য়হীন 'বারেলাল'
আরও পড়ুন: ধৃত লস্কর-ই-তইবা কম্যান্ডার Nadeem Abrar
গত ২০ জুন ধর্মান্তরণের অভিযোগে দিল্লি থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করে এটিএস। ধৃতদের নাম উমর গৌতম ও জাহাঙ্গির। ধৃতেদর মধ্যে একজন নিজেও ধর্মান্তরিত মুসলিম। পুলিস জানতে পেরেছে, ধৃতরা জামিয়া নগরের বাটলা হাউসের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষকে জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে তারা। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার তখনই জানান, রাজ্যেজুড়ে ধর্মান্তরণের একটা ব়্যাকেট কাজ করছে। যারা জোর করে এই ধর্মান্তরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত দরিদ্র, বেকার যুবক, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের টার্গেট করছে ওই ব়্যাকেট। অর্থের লোভ দেখিয়ে তাঁদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।