ধর্মীয় আচরণে হস্তক্ষেপ আদালতের বিষয় নয়, সবরীমালা মামলার রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

বিচারপতি মালহোত্রা বলেন, আদালতকেই ঠিক করতে হবে কীভাবে মহিলাদের অধিকারের সঙ্গে নাগরিকের ধর্মীয় আচরণের অধিকারের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়

Updated By: Sep 28, 2018, 12:50 PM IST
ধর্মীয় আচরণে হস্তক্ষেপ আদালতের বিষয় নয়, সবরীমালা মামলার রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করলেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চের বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। ধর্মীর আচার আচরণে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না অভিমত প্রকাশ করলেন বিচারপতি মালহোত্রা।

সবরীমালা মামলায় ৫ সদস্যের বেঞ্চে ছিলেন প্রধানবিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এন খানওয়ালিকর, বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। রায় দিতে গিয়ে বেঞ্চের চার বিচারপতি সবরীমালায় সব বছরের মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন। একমাত্র বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এনিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই রায়ের ক্ষেত্রে বেঞ্চের চার বিচারপতির মতামতের পাশাপাশি পঞ্চম বিচারপতির অভিমতও লিপিবদ্ধ থাকল।

আরও পড়ুন-যৌন হেনস্থা নিয়ে ফের সরব তনুশ্রী, উঠল ইরফান, সুনীলের নামও!

বিচারপতি মালহোত্রা বলেন, কোনও ধর্মীয় আচরণ বিভেদমূলক মনে হলেও তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। আদালতকেই ঠিক করতে হবে কীভাবে মহিলাদের অধিকারের সঙ্গে নাগরিকের ধর্মীয় আচরণের অধিকারের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। সতী প্রথার মতো কোনও কোনও ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে। আয়াপ্পার আরাধনার অধিকারের সঙ্গে সমানাধিকারের অধিকারের সংঘাত তৈরি হয়েছে। শুধু সবরীমালা মন্দিরের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রেও ওই মামলার রায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

উল্লেখ্য, বহু বছর পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এখন থেকে সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। এতদিন ১০-৫০ বছর বয়সী মেয়েছে আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন না।

আরও পড়ুন-ইসলামপুরের ছাত্র খুনের তদন্তভার সিআইডি-কে দিল রাজ্য সরকার

শুক্রবার মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, নৈতিকতার দোহাই দিয়ে মহিলাদের অধিকার হরণ করা যাবে না। আয়াপ্পায় ভক্তরা সবই হিন্দু। ফলে ভক্তদের অধিকারের মধ্যে ভাগাভাগি হতে পারে না। সবরীমালা মন্দিরে ভক্তদের ঢোকার ক্ষেত্রে যে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা কোনও ধর্মীয় আচার হতে পারে না। ১০-৫০ বছরের মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী।

ঐতিহাসিক ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, আরাধনার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য থাকতে পারে না। যে দেশে দেবী পূজিত হন সেখানে এই বৈষম্য চলতে পারে না।

.