Woman Fighter Pilot: ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার সানিয়া মির্জা জাতীয় প্রতিরক্ষা একাডেমির ২০২২ সালের (NDA) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি দেশের প্রথম মুসলিম মেয়ে এবং রাজ্যের প্রথম আইএএফ পাইলট হবেন।

Updated By: Dec 23, 2022, 03:08 PM IST
Woman Fighter Pilot: ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরের একজন টিভি মেকানিকের মেয়ে সানিয়া মির্জা, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে ফাইটার পাইলট হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের প্রথম মুসলিম মেয়ে এবং রাজ্যের প্রথম আইএএফ পাইলট হবেন। সানিয়া মির্জা মির্জাপুর দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এনডিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই যোগ্যতা অর্জন করেন।

উত্তর প্রদেশে হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়া সানিয়া বলেছেন যে হিন্দি মাধ্যমে পড়া ছাত্ররাও যদি দৃঢ়সংকল্প হয় তাহলে তারা সাফল্য অর্জন করতে পারে। ২৭ ডিসেম্বর, তিনি পুনের এনডিএ খাড়কওয়াসলায় যোগ দেবেন।

অভিভাবকদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও তাকে নিয়ে গর্বিত বলে জানা গিয়েছে।

সানিয়ার বাবা শহীদ আলি বলেন, ‘সানিয়া মির্জা দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে তার রোল মডেল মনে করেন। শুরু থেকেই সানিয়া তাঁর মতো হতে চেয়েছিলেন। সানিয়া দেশের দ্বিতীয় মহিলা যিনি ফাইটার পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন’।

তিনি নিজের গ্রামের পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজে প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে যান। তিনি দ্বাদশ শ্রেনির ইউপি বোর্ডের পরীক্ষায় নিজের জেলার শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। সেঞ্চুরিয়ান ডিফেন্স একাডেমিতে তার প্রস্তুতি শুরু হয়।

আরও পড়ুন: National Mathematics Day: বাবা কাজ করতেন কাপড়ের দোকানে, আর তিনি মাত্র পঁচিশেই গণিতের কিংবদন্তি...

তিনি নিজের অভিভাবকদের পাশাপাশি সেঞ্চুরিয়ান ডিফেন্স একাডেমিকেও নিজের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন যে জাতীয় প্রতিরক্ষা একাডেমি ২০২২-এর পরীক্ষায় ফাইটার পাইলটের জন্য মহিলাদের জন্য মাত্র দুটি আসন সংরক্ষিত ছিল।তিনি বলেন, ’আমি প্রথম চেষ্টায় একটি আসন দখল করতে পারিনি তবে আমি আমার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় একটি জায়গা পেয়েছি’।

আরও পড়ুন: 'বউ চাই, পাত্রী খুঁজে দিন', বিয়ের পোশাকে পোস্টার হাতে পাত্রের দল! কেন জানেন?

সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জা বলেন, ‘আমাদের মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। সে প্রথম ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে’।

ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী ২০২২-এর পরীক্ষায় পুরুষ এবং মহিলা সহ মোট ৪০০ টি আসন ছিল। সেখানে মহিলাদের জন্য ১৯টি আসন ছিল এবং ফাইটার পাইলটদের জন্য দুটি আসন সংরক্ষিত ছিল। এই দুটি আসনে, সানিয়া তাঁর প্রতিভার জোরে জায়গা পেতে সক্ষম হয়েছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

 

.