'ওরা গান্ধীজি কে মেরেছে, আমাকে কি ছেড়ে দেবে?' প্রাণনাশের হুমকি সিদ্দারামাইয়াকে
তাঁর এই মন্তব্যের পরে হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপি কর্মীরা সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। বৃহস্পতিবার কোডাগুতে সিদ্দারামাইয়ার সফরের সময়, তার গাড়িতে ডিম ছুড়ে মারা হয় এবং তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সিনিয়র কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের বিধানসভা দলের নেতা বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এরা গান্ধীকে মেরেছে, তারা কি আমাকে ছেড়ে দেবে? ওরা গান্ধীকে মেরেছে, গডসে গান্ধীকে গুলি করেছে, কিন্তু তারা তার ছবির পূজা করে’। সাভারকরের পোস্টার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তিনি দাবি করেন, ‘তারা সেই ব্যক্তিকে 'বীর সাভারকর' বলে ডাকছেন যিনি ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন’। তিনি বলেন যে সাভারকারের বিরুদ্ধে তার কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা অথবা রাগ না থাকলেও, তার আচরণ ঠিক ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, সিদ্দারামাইয়া মঙ্গলবার ১৫ অগস্ট শিবমোগার জেলা সদর দফতরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করার দায়ে বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সাভারকারের ছবি লাগানোর প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সিদ্দারামাইয়া বলেন, "ওরা মুসলিম এলাকায় সাভারকারের ছবি লাগানোর চেষ্টা করেছিল। ওরা যে কোনও ছবি রাখুক, কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, মুসলিম এলাকায় কেন এমন হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি?’ তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন ‘টিপু সুলতানের ছবি নিয়ে আপনার আপত্তি কেন?’
তাঁর এই মন্তব্যের পরে হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপি কর্মীরা সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। বৃহস্পতিবার কোডাগুতে সিদ্দারামাইয়ার সফরের সময়, তার গাড়িতে ডিম ছুড়ে মারা হয় এবং তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা এবং কর্মীরা সিদ্দারামাইয়ার গাড়িতে ডিম ছোঁড়ার ঘটনায় রাজ্য বিজেপি সরকার এবং সংঘ পরিবার সংগঠনের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখিয়েছে তাঁরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন যে রাজ্য সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং তাদের তদন্ত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বলেছেন, ‘আমরা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আমরা এই বিষয়ে পুলিসের ডিরেকটর জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস এটির তদন্ত করবে। আমরা রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কেউ যেন না করে। অন্যের মনে ঈর্ষা সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য যেন কেউ না করেন’।