`আমার পদত্যাগ ওদের জয় নয়`, বিদায়ী ভাষণে দুর্নীতি দমনের জানলা খোলা রাখলেন কেজরিওয়াল
জনলোকপাল বিল পেশ করতে না পারায়, কথা মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরোওয়াল। সন্ধের বৃষ্টি ভেজা দিল্লি। আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের সামনে তখন সমর্থকদের ভিড়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিড় ছলেকে ছলেকে যাচ্ছে। কারও মাথায় আবার ছাতা। সব কিছু ছাপিয়ে গেল বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। রাজনীতির যাত্রাপথ কঠিন হলেও, এটা যে আম আদমির ইতি নয় তাই স্পষ্ট হল কেজরিওয়ালের বক্তব্যে।
জনলোকপাল বিল পেশ করতে না পারায়, কথা মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরোওয়াল। সন্ধের বৃষ্টি ভেজা দিল্লি। আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের সামনে তখন সমর্থকদের ভিড়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিড় ছলেকে ছলেকে যাচ্ছে। কারও মাথায় আবার ছাতা। সব কিছু ছাপিয়ে গেল বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। রাজনীতির যাত্রাপথ কঠিন হলেও, এটা যে আম আদমির ইতি নয় তাই স্পষ্ট হল কেজরিওয়ালের বক্তব্যে।
কেজরিওয়ালের ভষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ:
১. জনলোকপাল বিলের জন্য আমি ১০০০ বার মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে পারি। দুর্নীতি দূর করতে আমি জীবনও দিতে পারি।
২. বিজেপি-কংগ্রেস একযোগে অভিষন্দি করেছে। সব আজ পরিষ্কার হচ্ছে।
৩. আমরা রিলায়েন্স চেয়রম্যান মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি। তাই বিজেপি, কংগ্রেস জনলোকপাল বিল পাস হতে দিল না।
৪. ইউপিএস সরকারকে ১০ বছর ধরে চালাচ্ছে আম্বানিরাই। সে কথা স্বীকারও করেছেন রিলায়েন্স কর্তা। নরেন্দ্র মোদীর ক্রমাগত পৃষ্ঠপোষকতা করে গিয়েছেন আম্বানি।
৫. আমাদের পদত্যাগে উপরাজ্যপাল ভাবছেন তাঁদের জয় হয়েছে। কেন্দ্র কী মনে করেছে, ব্রিটিশ রাজ চলছে?
৬. আমি মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি। ওরা (কংগ্রেস) বলছে এটা অসাংবিধানিক। আমরা চেয়েছিলাম জনলোকপাল বিল পাস করাতে। ওদের মতে এটাও অসাংবিধানিক। আপনাদের সমস্ত ভুল গুলোই কী তবে সাংবিধানিক?
৭. কংগ্রেস বিধায়করা বিধানসভার ভিতরে গতকাল মাইক ভাঙে, কাগজ ছেঁড়ে। আমাদের নেতাকে বিজেপির তরফ থেকে চুরি দেওয়া হয়েছে। আপনারাই বলুন ওরা কী মহিলাদের সম্মান করতে জানে?
৮. ওরা বলছে, আমরা প্রশাসন চালাতে জানি না। আমরা ক্ষমতায় আসার ৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ মাশুল কমিয়ে দিয়েছি। ওরা কী তা ৫ বছরেও পেরেছে?
৯. আমরা যদি কোনও ভুল করে থাকি, আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমরাও মানুষ।
১০. গত ৪৯ দিন ধরে আমদের ৭ জন মন্ত্রী রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।