তিন তালাক বন্ধ করা হবে, লালকেল্লায় সাফ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এদিন লালকেল্লা থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অটলবিহারী বাজপেয়ীর দেখানো পথেই হাঁটবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: এনডিএ সরকারের একটি বড় মাথাব্যাথা তিন তালাক বিল ও কাশ্মীর সমস্যা। প্রত্যাশা মতোই লালকেল্লায় তাঁর ভাষণে দুই ইস্যুই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তুললেনই না সাফ জানিয়ে দিলেন, তিন তালাক বিল পাস করানো হবেই।
বুধবার লালকেল্লায় জাতীর উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিন তালাক বন্ধ করবেই সরকার। তিন তালাক প্রথা চালু থাকার ফলে দেশের মুসলিম মহিলাদের প্রতি অন্যায় হচ্ছে। আমরা এই প্রথা বন্ধ করতে চাই। কিন্তু কিছু লোক এর বিরোধিতা করছে। মুসলিম মহিলাদের আমি কথা দিয়েছি তাঁদের প্রতি ন্যায়বিচার হবে।’
The practice of Triple Talaq has caused great injustice to Muslim women. We are striving to end this practice but there are some people who are not wanting it to end. I promise the Muslim women that I will work to ensure justice is done to them: PM Modi pic.twitter.com/FM0LO1Wp8k
— ANI (@ANI) August 15, 2018
আরও পড়ুন-ট্রেনে চড়ে গ্রেফতার কয়েক হাজার যাত্রী, জানাল রেল
উল্লেখ্য, তিন তালাক বিল পাস করানোর জন্য গত অধিবেশনেই তোড়জোড় শুরু করেছিল বিজেপি। কিন্তু লোকসভায় বিলটি পাস হলেও রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তা পাস করানো যায়নি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে দেশের কয়েকটি বিরোধী দল। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, কিছু লোক তিন তালাকের বিরোধিতা করছে। তিনি এক্ষেত্রে কংগ্রেসকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই বিলে তিন তালাক, তালাক-ই-বিদাত-কে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে। এটাই বিরোধিতার মূল কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিলটির বিরোধিতা করে দেশের একাধিক মুসলিম মহলের বক্তব্য, তালাক প্রথা তুলে দিলে তা মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনে হস্তক্ষেপ হবে। তবে কোনও কোনও মুসলিম মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিলটিকে সমর্থনও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-‘চার বছরে দেশ অনেক বদলে গিয়েছে’
এদিন লালকেল্লা থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাশ্মীরের গ্রামীণ এলাকার উন্নতিতে বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অটলবিহারী বাজপেয়ীর দেখানো পথেই হাঁটবে সরকার। উত্তরপূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য থেকে সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্ফা তুলে নেওয়ার কথা বলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা ও মেঘালয় থেকে আফস্ফা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অরুণাচলে ওই আইন এখনও বলবত রয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কাশ্মীর থেকে আফস্ফা তুলে নেওয়ার কোনও কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী।