দিল্লিতে জাতীয় ভোটার দিবসে ভার্চুয়াল বার্তা উপরাষ্ট্রপতির, ৭৫% ভোটদানের হওয়ার আহ্বান জানালেন বেঙ্কাইয়া নাইডু
নাইডু বলেন যে নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ হল ভোটারদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধাগুলির মোকাবিলা করা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন এবং দেশের নাগরিকদের নির্বাচনী গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আগামী সাধারণ নির্বাচনে ৭৫ শতাংশ ভোটদান নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে একযোগে সকল নির্বাচন করার বিষয়ে ঐক্যমত্য কামনা করেন।
মঙ্গলবার ১২ তম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে একটি বার্তায়, নাইডু জোর দিয়ে বলেন যে কোনও ভোটারকে পিছিয়ে রাখা উচিত নয়। তিনি নাগরিকদের আহ্বান জানান যে প্রতি নির্বাচনে যেন নাগরিকরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের মেধার ভিত্তিতে বিচার করেন।
করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে নাইডু হায়দ্রাবাদে হোম আইসোলেশনে থাকায় দিল্লির ইভেন্টে তার বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।
আরও পড়ুন: Downing Street-এ লকডাউন পার্টি, তদন্ত করবে লন্ডন পুলিস
নাইডু বলেন যে নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ হল ভোটারদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধাগুলিকে মোকাবিলা করে আমাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রতিটি নির্বাচনে ভোটদানের হারের বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
উপ-রাষ্ট্রপতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, "আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, আসুন আমরা কোনও ভোটারকে পিছনে ফেলে না রাখার সংকল্প করি এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কমপক্ষে ৭৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাখি৷ প্রত্যেকে অনুধাবন করুক যে ভোট দেওয়া শুধু অধিকার নয়, দায়িত্বও। একটি জাতি হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই ভাবতে হবে এবং একটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে যাতে একসঙ্গে তিন স্তরের ফেডারেল ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে হবে এবং আমাদের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে উন্নত শাসনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
নাইডু ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫৮.২১ শতাংশ থেকে ২০১৪ সালে ৬৬.৪৪ শতাংশে বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রস্তাব করেছেন যে ২০১৯ সালে ৬৭.৪০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
তিনি কমিশনকে আরও উদ্ভাবনী উপায় খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রযুক্তি, ভোট প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা বাড়াতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি গত বছর কোভিড প্রোটোকলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাঁচটি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ৭৪ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশের মধ্যে উচ্চ ভোটার উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন।