দিল্লির 'সঙ্কটে' প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন মমতা

 দিল্লিতে আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে টানা ৬দিন ধরে উপরাজ্যপালের বাড়িতে ধর্ণা দিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Jun 16, 2018, 10:35 PM IST
দিল্লির 'সঙ্কটে' প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির অচলাবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে টানা ৬দিন ধরে উপরাজ্যপালের বাড়িতে ধর্ণা দিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রী। তবে সেই অনুমতি দেননি উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। অগত্যা কেজরিওয়ালের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এইচডি কুমারস্বামী, পিনরাই বিজয়ন ও চন্দ্রবাবু নাইডু।

সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,''গণতন্ত্রে বিরোধী দলেরও মর্যাদা আছে। দিল্লি দেশের রাজধানী। ৪ মাস ধরে এখানে উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৬ সেকেন্ডে সময় দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। বিদ্যুত, দূষণ বাড়লে ভুক্তভোগী হন সাধারণ মানুষই।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,''৪ মাস ধরে বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না। রাজধানীতেই এই অবস্থা হলে দেশে কী হবে! উপরাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলাম, আমরা অরবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চাই। মৌখিকভাবেই আমাদের আসতে মানা করলেন। সন্ধে থেকে ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আমাদেরও সময়ের দাম আছে। শুধু দিল্লি নয়, যে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সমস্যায় পড়লে পাশে দাঁড়াব।'' 

বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক সঙ্কট কাটাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবেন। মমতার কথায়,''রাষ্ট্রপতি থাকলে ওনার সঙ্গে কথা বলতাম। আগামিকাল নীতি আয়োগের বৈঠকে চা চক্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করব। তাঁকে বলব এর সমাধান করুন।'' 

এদিনই আবার মোদীকে বিঁধে টুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লিখেছেন, ''আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতে বাধা দিতে পারেন কি প্রধানমন্ত্রী? রাজনিবাস কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটা ভারতের মানুষের।''   

দিল্লির এই টানাটানিতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু আগামিকালের নীতি আয়োগের বৈঠকের চা চক্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে নরেন্দ্র মোদী এগিয়ে আসেন কিনা, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এর পাশাপাশি কংগ্রেস কী অবস্থান নেয়, সেটাও দেখার। প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালের এই ধর্ণার বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব কংগ্রেস। কেজরিকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাহুল গান্ধীর দল। ফলে এনিয়ে বিরোধী শিবির সরব হলে তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে কংগ্রেসের।      

আরও পড়ুন- মার্কিন পণ্যে বহিঃশুল্ক বাড়িয়ে ট্রাম্পকে ইটের বদলে পাটকেল মোদীর

.