অস্ত্রোপচারের আগে দুনিয়ার স্থূলতম কিশোর দিল্লির মিহিরই

হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মিহিরই দুনিয়ার সবচেয়ে স্থূল কিশোর। অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকরা মিহিরের ডায়েট চার্ট কড়াকড়ি করে ৪০ কোজি ওজন কমিয়ে আনেন

Updated By: Jul 4, 2018, 01:48 PM IST
অস্ত্রোপচারের আগে দুনিয়ার স্থূলতম কিশোর দিল্লির মিহিরই

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির সবাই একটু মোটা। তাই ছেলেকে নিয়েও প্রথমে তেমন একটা পাত্তা দেননি তার মা-বাবা। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বাড়ে পাল্লা দিয়ে। ৫ বছর বয়সে ওজন হয় ৬০ কেজিতে। দিল্লির মিহির জৈনকে নিয়ে এরপর ভাবনার অন্ত ছিল না পরিবারের।

 আরও পড়ুন-যুবতীর ব্রেস্ট টিউমারের চিকিত্সা করতে গিয়েই হল ‘ডাক্তার’-এর পর্দাফাঁস

যখন তার বয়স ১৪,  তখন ওজন দাঁড়ায় প্রায় ২৩৭ কেজিতে। এরপর মিহিরকে নিয়ে চিকিত্সকে দ্বারস্থ হন তার পরিবার। দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের মেটাবলিক অ্যান্ড বেরিয়াট্রিক সার্জেন ডা প্রদীপ চৌবে ওজন কমানোর জন্য অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মিহিরই দুনিয়ার সবচেয়ে স্থূল কিশোর। অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকরা মিহিরের ডায়েট চার্ট কড়াকড়ি করে ৪০ কোজি ওজন কমিয়ে আনেন।

বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই-এ ওপরে নির্ভর করে কোনও মানুষকে মোটা বা রোগা বলা হয়। সাধারণভাবে বিএমআই ১৮-২২ হলে তাকে সাধারণ স্বাস্থ্য বলা হয়। পাশাপাশি বিএমআই ৩২.৫ এর বেশি হলে তাকে মোটা বা স্থূল বলা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, বিএমআই ৬০ এর ওপরে হলেই অস্বাভাবিক মোটা বলা যায়। সেক্ষেত্রে মিহিরের বিএমআই ছিল ৯২। ফলে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করতেও ভয় পাচ্ছিলেন। প্রথমে মিহিরকে ফেরতও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

চিকিৎসক প্রদীপ চৌবে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘মিহিরের ওজন ছিল ২৩৭ কেজি। ঠিকমতো কথা বলতে বা শ্বাস নিতেও পারত না। প্রায় সব সময় ঝিমতো। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ওর বিএমআই ৯২ শুনে আঁতকে উঠেছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের আগে ওকে কমপক্ষে ৪০ কোজি ওজন কমাতে বলেছিলাম।’
গ্যাসট্রিক বাইপাস অস্ত্রোপচারের পরে ৫ ফুটের মিহিরের ওজন দাঁড়িয়েছে ১৬৫ কেজিতে। মিহিরের খাবার পরিমাণ একেবারে বেঁধে দিয়েছেন চিকিৎসক প্রদীপ চৌবে। এখন লক্ষ ওজন ১০০ কোজির নীচে নামিয়ে আনা।
আরও পড়ুন-ফুটবলে জিতলেও, ক্রিকেটে ভারতের কাছে হারল ইংল্যান্ড
মিহিরের মা পুজো জৈন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘ক্লাস টু-এ পড়ার সময়ে ও স্কুল ‌যাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। ফলে ওকে বাড়িতেই পড়াতাম। ধীরে ধীরে ওর ওজন এতটাই বাড়তে লাগল ‌যে ও ক্রমশ বিছানা নির্ভর হয়ে পড়ল। ভাল করে দাঁড়াতে পারতো না, হাঁটতে পারতো না। বন্ধুদের সঙ্গে ‌যোগ‌যোগ নষ্ট হয়ে গেল। বাধ্য হয়েই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

.