ইয়াকুবের ফাঁসি, কেমন হবে শেষের সেই মুহূর্ত? জি নিউজ এক্সক্লুসিভ

Updated By: Jul 29, 2015, 09:49 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: টানা ২২ বছর জেলের কুঠুরিতে কাটানোর পর অবশেষে আগামী ৩০ জুলাই জীবন শেষ হয়ে যাবে ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী ইয়াকুব মেমনের। সু্প্রিম কোর্ট ও রাষ্ট্রপতির কাঠে প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ইয়াকুবের জীবন এখন মাত্র কয়েক ঘণ্টার। কেমন হবে শেষের সেই মহূর্ত?

ইয়াকুবের ফাঁসির মঞ্চ এখন সাজছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলে। বর্ষা কাল। বৃষ্টি হতে পারে। ফাঁসির মঞ্চ তাই ঢেকে দেওয়া হয়েছে টিনের ছাউনিতে। যেই সেলে ইয়াকুব রয়েছেন তার থেকে ফাঁসির মঞ্চের দূরত্ব মাত্র ২৫ পা। অর্থাত্, ২৫ কদম হেঁটে এলেই ফাঁসির দড়ির একেবারে কাছে পৌঁছে যাবেন ইয়াকুব। এরপরই তাকে পড়ে শোনানো হবে তার অপরাধের তালিকা। জিজ্ঞেস করা হবে শেষ ইচ্ছা। আর তারপরই টান পড়বে ফাঁসির দড়িতে। এই গোটা ঘটনা ঘটে যাবে মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে।

অপরাধীর উচ্চতা অনুযায়ী তৈরি করা হয় ফাঁসির দড়ির দৈর্ঘ্য। ইয়াকুবের ওজন এখন ৬০ কেজি। সেই অনুযায়ী ৭ ফুট লম্বা দড়িতে ঝোলানো হবে তাকে। এই মুহূর্তে ঘি ও কলার শাঁস মাখিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে তিনটি দড়ি। এরই একটার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে ইয়াকুবকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দড়ি। এই জেলে শেষ ফাঁসি হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। তিন দশকে প্রয়োজন পড়েনি কোনও জল্লাদের। তাই জেলেরই তিন পুলিসকর্মীকে এখন ফাঁসুড়ের তালিম দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে আজমল কাসভের ফাঁসির দড়িতেও টান দিয়েছিলেন এক পুলিসকর্মীই।

.