বল ছুড়ে মারা, স্লেজিং! প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপার ছিল, বলছেন বাংলাদেশী পেসার
এমনিতে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট মানেই এখন ধুন্ধুমার লড়াই। সমর্থকদের মধ্যে অনেক সময়ই ম্যাচ ঘিরে বাকযুদ্ধ চলে। দুই দেশের সমর্থকরা অনেক সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়ান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কীসের প্রতিশোধ! অতীতে একাধিক হারের! নাকি অন্য কিছু! কেমন প্রতিশোধ! কেনই বা প্রতিশোধ! কিছুই বোঝা যায়নি। তবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই স্লেজিং করে বিরক্ত করেছেন বাংলাদেশী পেসাররা। তার সঙ্গে ছিল অদ্ভুত বিদ্বেষ ভরা ব্যবহার। কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে বল ছুডে় মারা হচ্ছিল। কখনও উড়ে আসছিল অশ্রাব্য গালিগালাজ। মাঠের লড়াই যেন শুধু মাঠে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাতে প্রভাব ফেলেছিল মাঠের বাইরের কোনও লড়াই।
এমনিতে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট মানেই এখন ধুন্ধুমার লড়াই। সমর্থকদের মধ্যে অনেক সময়ই ম্যাচ ঘিরে বাকযুদ্ধ চলে। দুই দেশের সমর্থকরা অনেক সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়ান। একে-অপরকে অকারণ আক্রমণ করে বসেন। আর সেই অযৌক্তিক বাকযুদ্ধের প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উপর। বাংলাদেশে যে দুই পেসার সব থেকে বেশি স্লেজিংয়ে মেতেছিলেন, সেই শরিফুল ও সাকিব নিজে মুখে স্বীকার করে নিলেন প্রতিশোধ স্পৃহার কথা। ফাইনাল ম্যাচে শুরু থেকেই তাঁরা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের স্লেজিং করে হাওয়া গরম করেছিলেন। পুরোটাই হয়েছিল ছক মেনে।
আরও পড়ুন- এপ্রিল মাসের জন্য কিছু রান বাঁচিয়ে রেখো! রাহুলকে এমন কথা কেন বললেন নিশাম, জানেন
পেসার শরিফুল ইসলাম বলেছেন, ''ওদের বিরুদ্ধে আমরা দুবার জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে হেরেছি। এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের পর গোটা বাংলাদেশের মন ভেঙেছিল। তখন আমাদের কেমন লেগেছে বলে বোঝানো যাবে না। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে শুধু অতীতের কথা মনে পড়ছিল। ওরা আমাদের সঙ্গে কেমন করেছিল সেবার জেতার পর, আমাদের কেমন লেগেছিল হারার পর, সেসব মনে পড়ছিল। আমরা অপেক্ষা করছিলাম এমন দিনের যেখানে ফাইনালে ওদের হারিয়ে আমরাও এমন উদযাপন করব। ওদের সামনে গিয়ে ওদের মতো উদযাপন করব। সেটা পেরেছি। প্রতিশোধের একটা ব্যাপার তো ছিলই। আর আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছি নিজেদের স্বার্থে। ব্যাটসম্য়ানকে উত্তেজিত করতে পারলেই বোলারের লাভ।''