স্পট ফিক্সিং রুখতে ব্যর্থ বোর্ড, কার্যত স্বীকার বোর্ড সভাপতির
ফিক্সিং করে তিন ক্রিকেটারের হাজতবাসের পর সবাই অপেক্ষা করেছিল তিনি কী বলেন। শেষ পর্যন্ত হতাশই করলেন বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনাবাসন। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি যা বললেন, তার অর্থ একটাই দাঁড়ায় বোর্ড অসহায়, বুকিদের উপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। একই সঙ্গে শ্রীসন্থ, অঙ্কিত, চান্ডিলাদের এখনই নির্বাসিত করল না বিসিসিআই।
ফিক্সিং করে তিন ক্রিকেটারের হাজতবাসের পর সবাই অপেক্ষা করেছিল তিনি কী বলেন। শেষ পর্যন্ত হতাশই করলেন বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনাবাসন। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি যা বললেন, তার অর্থ একটাই দাঁড়ায় বোর্ড অসহায়, বুকিদের উপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সেই সঙ্গে স্পট ফিক্সিং রুখতে ব্যর্থ হয়েছে বোর্ড, সে কথাও কার্যত স্বীকার করে নিলেন শ্রীনিবাসন। ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে পুলিশের মত নজরদারি করা বিসিসিআইয়ের পক্ষে সম্ভব নয়, জানালেন তিনি৷
একই সঙ্গে শ্রীসন্থ, অঙ্কিত, চান্ডিলাদের এখনই নির্বাসিত করল না বিসিসিআই। স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর আজ প্রথম বৈঠকে করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটি৷ চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসন৷ ছিলেন আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার ওয়াই পি সিংহও৷ দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা৷
গা বাঁচানোর মতে করে বলা হল শ্রীসন্থরা স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে বলা হল পুরো কাণ্ডের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হল। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন রবি সারওয়ানি। বোর্ডের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিসের কাছে সাহায্যও চাওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যেটা নেওয়া হয়েছে তা হল এবার থেকে আইপিএলের প্রতিটি দলে দুর্নীতি দমন শাখা রাখতে হবে।
রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিটি দলের ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের উপর নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রতি দলে একজন করে সিকিউরিটি অফিসার থাকবেন। দুর্নীতি দমন শাখার সদস্যদেরই এই পদে নিয়োগ করা হবে। প্রতি দলের ক্রিকেটার এবং এজেন্টদের নথিভুক্ত হতে হবে।
পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসের চেয়ারম্যানকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তিনি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি পেয়েছেন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন ক্রিকেটারদের জামিনের বিরোধিতা করেন।