কেন পরিস্কার রাখা য়ায়না এ ওয়ান সিটি কলকাতাকে?
ক্ষমতায় এসে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্ন-কলকাতা সেজে উঠবে লন্ডনের ধাঁচে। কলকাতাকে লন্ডন করার স্বপ্ন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মউ এবং কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়ে ফেলেছে নতুন সরকার।
ক্ষমতায় এসে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্ন-কলকাতা সেজে উঠবে লন্ডনের ধাঁচে। কলকাতাকে লন্ডন করার স্বপ্ন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মউ এবং কয়েকশো
কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়ে ফেলেছে নতুন সরকার। ডালহৌসি স্কোয়ার, গঙ্গার তীর, শহরের বিভিন্ন রাস্তা সেজে উঠছে। কিন্তু শহরের জঞ্জাল মানচিত্রের হাল বারবার
পিছিয়ে দিচ্ছে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে। যত্রতত্র জমে থাকা আবর্জনা। উপচে পড়া ভ্যাট। দিনভর দুর্গন্ধ। অবস্থা নারকীয় হয়ে ওঠে বর্ষায়। যখন পচে যাওয়ায় আবর্জনা
অতীষ্ঠ করে তোলে পথচলতি মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেন পরিস্কার রাখা য়ায়না এ ওয়ান সিটি কলকাতাকে? শহরের ১৪১ টি ওয়ার্ডের আবর্জনা পরিস্কারের
পরিকাঠামোই বলছে দূর্বল এক চিত্রনাট্যের কথা। শহরজুড়ে বড় ওপেন ভ্যাটের সংখ্যা ৬০, ছোট ওপেন ভ্যাট রয়েছে ১৪০টি পোর্টেবল গারবেজ কন্টেনার ৩৫০টি,
যেগুলি আবর্জনা জমার পর সরিয়ে তার বদলে আর একটি কন্টেনার বসানো হয়। পুরসভার হাতে জঞ্জাল মোকাবিলার জন্য রয়েছে ১১ হাজার সাফাইকর্মী।
১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পুরসভার নিজস্ব সাফাইকর্মী। ১০১ থেকে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাফাইকর্মীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরকর্মী। বাকিরা ঠিকাসংস্থার।
এরমধ্যে সরাসরি জঞ্জাল অপসারণে নিযুক্ত ৮৫০০ জন। বাকি ২৫০০ জন জঞ্জালের গাড়ি চালানো সহ অন্যান্য কাজ করেন। ঠিকাসংস্থার সাফাইকর্মীর সংখ্যা ৩০০০।
তিন শিফটে কাজ করার কথা সাফাইকর্মীদের। প্রথম শিফট ভোর ৫.৩০ থেকে সকাল ৯টা। দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯.৩০ থেকে ১১.৩০। তৃতীয় শিফট বিকেল ৩.৩০টে
থেকে ৫.৩০। ধরে নেওয়া হয় এরপর শহরবাসী আর কোনও ভ্যাটে আবর্জনা ফেলবেননা। তব বিকেল থেকে রাতভর শহরে জঞ্জালের আঁতুরঘর হয়ে থাকার আসল কারণ, তৃতীয় শিফটে কলকাতা পুরসভার নিজস্ব সাফাইকর্মীরা কাজ করেন না। কাজ করেন ঠিকদার সংস্থা নিয়োজিত সাফাইকর্মীরাই। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে জানাতে চাইছেনা পুরসভা। তারা শহরবাসীর সিভিক সেন্সকে এ জন্য সরাসরি দায়ি করে পার পেতে চাইছেন। কিন্তু বদলানো যায়নি শহরের জঞ্জাল মানচিত্র। যে চিত্র লজ্জায় ফেলে শহরবাসীকে। অতীষ্ঠ করে তোলে তাদের জীবনযাত্রা।