Mamata Banerjee Mega Rally: ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর মিছিলে রাজপথে পা মেলাবে কলকাতার তিন প্রধান
বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে বাঙালির দুর্গাপুজো। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল সেই উপলক্ষ্য়ে 'ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ' জানাতে জোড়াসাঁকো থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল রাজ্য সরকারের। সেই মিছিলেই রাজ্যের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে হাজির থাকছে কলকাতার তিন বড় দল-ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ও মহামেডান।
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে বাঙালির দুর্গাপুজো। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল সেই উপলক্ষ্য়ে 'ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ' জানাতে জোড়াসাঁকো থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল রাজ্য সরকারের। সেই মিছিলেই রাজ্যের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে হাজির থাকছে কলকাতার তিন বড় দল-ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ও মহামেডান। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের আমন্ত্রণেই এই মিছিলে অংশ নেবে কলকাতার শতবর্ষপ্রাচীন এই তিন বড় ক্লাব। যারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক ও বাহক। ব্রাজিলে রিও কার্নিভালে যেমন ফুটবল প্রাধান্য পায়, তেমনই কলকাতার পুজো কার্নিভালেও মিলে গিয়েছে তিন বড় ক্লাব।
উল্লেখ্য, এই মিছিল কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ওই মিছিল থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানো হবে। দুপুর ২টোর সময়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে জমায়েত হবে। শাঁখ-বাঁশি নিয়ে মিছিলে শামিল হবেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও থাকবে। সেই মিছিলেরই অংশ হচ্ছে লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন, ও সাদা-কালো শিবিরের প্রতিনিধিরা। ক্লাবের জার্সি ও পতাকা নিয়ে হাজির থাকবেন তাঁরা। কলকাতার তিন বড় ক্লাবের তরফেই জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে তিন-চার দিন আগেই এই মিছিলে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় কলকাতার তিন বড় ক্লাবকে। যা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন তিন বড় ক্লাবের কর্তারাই।
মোহনবাগান ক্লাবের তরফে সচিব দেবাশিস দত্তকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি জানেন বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ফুটবল। আর ফুটবলের কথা উঠলেই বাঙালির প্রতিনিধি তিন বড় ক্লাব। এই আমন্ত্রণ আমাদের কাছে অত্যন্ত বড় সম্মান।' যোগ করেছেন, 'মোহনবাগান ক্লাবের তরফে ৫০ জন জুনিয়র ফুটবলার হাজির থাকবে। থাকবেন ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্যদের কয়েক জন। বল জাগলিং করবেন ক্লাবের একজন মহিলা ফুটবলার।' ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও বললেন, 'সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা গর্ব অনুভব করছি। আমাদের ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও প্রথম সারির কর্তারা পা মেলাবেন এই মিছিলে।' মহমেডান ক্লাবের সহ-সভাপতি মহম্মদ কামারুদ্দিনের কথায়, 'ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আমি নিজে হাঁটব এই মিছিলে। বাঙালির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম বড় নিদর্শন দুর্গাপুজো। ক্লাবের ৫০ জন জুনিয়র ফুটবলারও জার্সি গায়ে হাঁটবে। হাতে থাকবে ক্লাব পতাকা ও ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখা হোর্ডিং।'