প্রথমবার আইপিএল জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া কেকেআর
আইপিএল ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল চেন্নাই। চেন্নাইয়ের সামনে যেমন টুর্নামেন্টে খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিক করার হাতছানি, তেমনই নাইটদের সামনে প্রথবার ফাইনালে উঠে প্রথম খেতাব জয়ের সুযোগ। দু`দলই তাই ম্যাচ জিততে মরিয়া।
আইপিএল ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল চেন্নাই। চেন্নাইয়ের সামনে যেমন টুর্নামেন্টে খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিক করার হাতছানি, তেমনই নাইটদের সামনে প্রথবার ফাইনালে উঠে প্রথম খেতাব জয়ের সুযোগ। দু`দলই তাই ম্যাচ জিততে মরিয়া।
চেন্নাইয়ের দলটি যেমন ব্যাটিং শক্তির উপর নির্ভর করে আছে, তেমনই বোলিং শক্তিতে এগিয়ে কেকেআর। বোলিং বিভাগে নাইট রাইডার্স অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের মূল অস্ত্র স্পিনার সুনীল নারিন। পাশাপাশি রয়েছে সাকিব-আল হাসান ও ইকবাল আবদুল্লার মত স্পিনার ও জ্যাক কালিসের মত অলরাউন্ডার। গোটা টুর্নামেন্টে খুব একটা ফর্মে না থাকা ইউসুফ পাঠান ও ম্যাককালামের উপরও আস্থা রাখছেন গম্ভীর।
অপরদিকে মুরলি বিজয়, মাইক হাসি, ব্র্যাভোদের চওড়া ব্যাটের দিকে তাকিয়ে আছেন ধোনি। এবারের নিজের ফর্ম নিয়েও খুশি ভারত অধিনায়ক। তাঁর মতে চেন্নাইয়ের পিচে ব্যাটসম্যাদের স্ট্রোক নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এটা তাঁর দলের পক্ষে ভাল। ধোনি বলেন, সুনীল নারিনের জন্যও তাঁরা আলাদাভাবে কিছু ভেবে রেখেছেন। তাই চেন্নাইয়ের বাইশ গজের যুদ্ধ জমে উঠবে বলেই মনে করছেন প্রাক্তনরা।
তবে এবছর অবশ্য শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি কেকেআরের। ইডেনে প্রথম ম্যাচেই দিল্লির কাছে হার মানে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারে গম্ভীরের দল। এরপর দুটি ম্যাচ জিতে ফের হারের মুখে পড়েন নাইটরা। কিন্তু এরপর টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত থেকে লিগ তালিকার উপরে উঠে আসে কলকাতার দলটি। এরপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাইয়ের কাছে কিছুটা বিপাকে পড়লেও শেষ দুটি ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। প্লে অফে শীর্ষস্থানে থাকা দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠে নাইট রাইডার্স।
রবিবার চেন্নাইয়ে বোর্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, দেবব্রত দাসরা নাইটদের জার্সি গায়ে দিয়ে প্রথমবার খেতাব জয়ের লড়াইয়ে নামবেন। ঠিক তখনই কলকাতার ছেলে হয়েও নাইটদের বিপক্ষ শিবিরে থাকবেন তাঁদেরই সতীর্থ বাংলার উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। মনোজরা যখন কলকাতার জয়ের স্বপ্নে বুঁদ তখন উল্টোপথে হাঁটছেন ঋদ্ধি। তাঁর পরিষ্কার জবাব, কলকাতার দলের প্রতি আবেগ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাইশ গজের লড়াইয়ে এইসব আবেগ খাটে না। ম্যাচের সময় বাংলা দলের সতীর্থদেরও তিনি বিপক্ষ শিবিরের ক্রিকেটার হিসাবেই দেখবেন। তাই এক ইঞ্চি জমিও বিনা লড়াইয়ে ছেড়ে রাজি নন ঋদ্ধি। তিনি চান চেন্নাই জিতে আইপিএল জয়ের হ্যাটট্রিক করুক। ফাইনালে খেলতে পারলে ঋদ্ধি তাঁর দলের জন্য একশো শতাংশ দিতে প্রস্তুত। প্রথম একাদশে সুযোগ না পেলেও রিজার্ভ বেঞ্চে বসে ধোনিদের হয়েই গলা ফাটাবেন ঋদ্ধিমান।
গৌতম গম্ভীরদের অনবদ্য পারফরম্যান্সের উপর আস্থা রেখে কলকাতার ক্রিকেট প্রেমীরা এখন তাকিয়ে আছেন নাইটদের খেতাব জয়ের দিকে।