বিশ্বকাপে না থেকেও দাদা বেশি করে আছেন শহর জুড়ে
বেহালার ছেলেটা আজও ছক্কা হাঁকায় বাঙালির মনের অন্দরে। আজও সৌরভ নামে প্রেমোন্মাদ কলকাতা ২২ গজের সাথে রাত কাটাতে প্রস্তুত। আরও একটা ছয়। ২২ গজ পেড়িয়ে
কলকাতা: বেহালার ছেলেটা আজও ছক্কা হাঁকায় বাঙালির মনের অন্দরে। আজও সৌরভ নামে প্রেমোন্মাদ কলকাতা ২২ গজের সাথে রাত কাটাতে প্রস্তুত। আরও একটা ছয়। ২২ গজ পেড়িয়ে
বাঙালির বুকে আছরে পরে উন্মাদনা। বিশ্বকাপ আছে কিন্তু কলকাতার "মহারাজ' কোথায়?
২২ গজের গণ্ডি যাকে বেঁধে রাখতে পারেনি, সে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আছেন। ক্রিকেটের ধারভাষ্যকার। বাংলার ক্রিকেট সচিব। অ্যাথলেটিক দ্য কলকাতার মালিক। এক জীবনে অনেক
জীবনের মালিক তিনি।
২২ গজ থেকে বেড়িয়ে হঠাৎ "লার্জার দেন লাইফ'-এ দাদার দাদাগিরির অন্ত নেই। আরও একটা বিশ্বকাপ। ২২ গজে নেই তিনি, কিন্তু আছেন পাড়ার মোড়ে মোড়ে, পোস্টারে আর ফেস্টুনে।
একে একে ২২ গজ থেকে বিদায় নিয়েছেন রাহুল, লক্ষণ, কুম্বলে। বিশ্বকাপের ট্রফি জিতে আন্তর্জাতিক এক দিনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন "দ্য মাস্টার' সচিন।
২০০৩ এ সৌরভের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া। দল হেরেছিল। কিন্তু কলকাতার মন জিতে নিয়েছিলেন দাদা। সেই হ্যাংওভার এখনও কাটেনি।
দাদা ২২ গজ ছাড়লেও, বেহালা দাদাকে ছাড়বে না কখনও। লর্ডসের সেই ঐতিহাসিক জয়ের দৃশ্য। এখনও চোখে ভাসছে কলকাতা বাসীদের। কলকাতার পাড়া কালচারে দাদা আর দাদার
নায়কোচিত পোস্টারে ছেয়ে রয়েছে বেহালা। বিরাট, ধাওয়ান, রায়না, রাহানেদের সাথে আজও একই সাথে একই পোস্টারে জয়মালা গলায় দিয়ে দাড়িয়ে আছেন দাদা।
বিরাট, ধোনিদের চার ছয়েও বেহালার গলায় গানের মত বাজছে "দাদা', "দাদা'।