ভারতের আগে সচিন তেন্ডুলকর খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে! ইমরান খানের নেতৃত্বে!
এখন দেশজুড়ে অসিহষ্ণুতার বাতাবরণ। সংসদেও আলোচনা-তর্ক চলছে রোজ। শাহরুখ খানের মতো তারকাকেও শুনতে হচ্ছে 'পাকিস্তানের এজেন্ট'!
ওয়েব ডেস্ক: এখন দেশজুড়ে অসিহষ্ণুতার বাতাবরণ। সংসদেও আলোচনা-তর্ক চলছে রোজ। শাহরুখ খানের মতো তারকাকেও শুনতে হচ্ছে 'পাকিস্তানের এজেন্ট'!
এই অবস্থায় একজনের কথা খুব মনে পড়ছে। সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। কারণ, দুটো। এক, সচিন তেন্ডুলকরের থেকে বড় তারকা এই দেশে আর কেউ আছেন নাকি!
দুই, এই সচিন তেন্ডুলকরকে পাকিস্তান এতটাই সম্মান করে যে, তারা এমনও বলেছিল, 'সচিনকে আমাদের দিয়ে দাও। আমরা কাশ্মীর দিয়ে দেব।'
তাই পুরনো 'খবর' হলেও আজ আরও একবার সকলের সঙ্গে শেয়ার করা।
তাহলো, সচিন তেন্ডুলকর ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলার আগেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের হয়েই!
সচিনের ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এর ঠিক দু'বছর আগে ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান এসেছিল ভারতে খেলতে। মুম্বইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে হচ্ছিল প্রীতি ম্যাচ। পাকিস্তানের অধিনায়ক তখন ইমরান খান। লাঞ্চের সময় জাভেদ মিঞাঁদাদ এবং আবদুল কাদির মাঠ থেকে খানিকক্ষণের জন্য বাইরে যান। সেইসময় পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করতে নামিয়ে দেওয়া হয় বেড়ে ওঠা ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরকে! একটা চার বাঁচাতে সচিন অনেকটা দৌড়েওছিলেন। প্রায় ১৫ মিটার তো বটেই। কিন্তু সেই চার রান বাঁচাতে পারেননি!
পরে কেরিয়ারে এত রান করেছেন যে, রান বাঁচানোটা তাঁর সঙ্গে মেলেও না।
তা হলে কী দাঁড়ালো? সচিন তেন্ডুলকরও খেলেছেন ইমরান খানের নেতৃত্বে। মাঠে নেমেছেন জাভেদ মিঞাঁদাদের পরিবর্তে। আর ফিল্ডিং করেছেন পাকিস্তানের হয়েই।
আমাদের দেশের ইতিহাস এটাই। সচিন নিজের আত্মজীবনী 'প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে'-তে লিখেছেনও সে কথা। বিষয়টাকে কতটা পজিটিভভাবে নেবেন, এবার সেটা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।