"আজ সকালে অভ্যাসমত ঘুম ভাঙল, তারপর মনে হল আজ তো আর তাড়াহুড়ো নেই"
অবসরের পরদিন ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের সাংবাাদিক সম্মেলন
অবসরের পরদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সচিন তেন্ডুলকর। গতকালের সেই আবেগ আজও সচিনের গলায়। কী বললেন ভারতরত্ন-দেখুন--
আজ কী হল-- অভ্যাসমত সকালেই ঘুম ভাঙল। তারপর মনে হল, আজ তো আর তাড়াহুড়ো নেই।
--------------------
আজ সকালে কী করলেন-- অঞ্জলির সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করলাম।
----------------
অবসর আবেগ প্রসঙ্গে- যখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন আবেগপ্রবন হয়ে পড়েনি। কারণ আমি জানতাম এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়, বাড়ির লোকেদের মন খারাপ হয়েছিল। তবে আবেগপ্রবন হয়ে পড়লাম যখন আমায় সহ খেলোয়াড়রা বিদায় জানাল, মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার সময়। আরও একটা কথা ভেবে খুব খারাপ লাগল আমি আর কোনও দিন দেশের হয়ে খেলতে পারব না।
--------------------------
পিচের সঙ্গে কথা-- শেষবার যখন পিচের সঙ্গে কথা বললাম, তখনই সবচেয়ে কষ্ট লাগল। আসলে ২২ গজ আমার কাছে মন্দিরের মত।
----------
অর্জুন তেন্ডুলকর প্রসঙ্গে- ও ক্রিকেট ভালবাসে এটাই যথেষ্ট। অর্জুনকে ওর মতো খেলতে দিন। দয়া করে ওর ওপর প্রত্যাশার চাপ বাড়াবেন না।
-----------------
দেশি কোচ নাকি বিদেশি কোচ প্রসঙ্গে- দেশি-বিদেশির প্রশ্ন নয়, এই পর্যায়ে সকলেই কভার ড্রাইভ মারতে জানে৷ ডাকসাইটে হেডস্যার নয়,চাই একজন সত্যিকারের বন্ধু৷
-------------
দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্রিকেট জীবন নিয়ে-- আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ২৪ বছর আমার কাছে স্বপ্নের সফর।
---------------------------------
ক্রিকেট নিয়ে- ক্রিকেট আমার কাছে জীবন আর অক্সিজেন।
----------------------------------------
অবসর প্রসঙ্গে- আমার অবসর নিয়ে অনেক জল্পনা হচ্ছিল, আমি তখন বলেছিলাম যেদিন মনে হবে আর শরীর আমায় বার্তা দেবে সেদিন ছেড়ে দেব। সেটাই হল শরীরের কাছে বার্তা পেলাম এবার ছাড়া উচিত। আমার শরীর বলল, এবার ছাড়ো। এটাই ছাড়ার সেরা সময় ছিল।
-------------------------------------
শেষ সিরিজ- আমার মা কোনওদিন আমার ম্যাচ লাইভ দেখেনি। তাই বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছিলাম মুম্বইতে শেষ ম্যাচটা দিতে। যাতে মা আমার খেলা স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারে।
ক্রিকেটের সঙ্গে যেকোনও ভাবে জুড়ে থাকব।
-----------------------------------------------
চোট প্রসঙ্গে- লম্বা কেরিয়ারে চোট বড় সমস্যা ছিল। চোট সারিয়ে ফর্মে ফেরা সব সময় কঠিন কাজ। টেনিস এলবোর পর সাড়ে চার মাস বিশ্রাম নিতে হয়েছিল। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা অনেক কঠিন ছিল।
---------------------
জীবনের সেরা মুহূর্ত- ২০১১ বিশ্বকাপ জয়। ২২টা বছর লেগ গেল বিশ্বকাপ জিততে।
---------------
জীবনের দুঃখের মুহূর্ত-২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারাটা খুব দুঃখের ছিল। কারণ পুরো প্রতিযোগিতায় দারুণ খেলেছিলাম আমরা।
----------------
ভারতরত্ন- কাল বলেছিলাম ভারতরত্ন আমার মায়েকে উত্সর্গ করলাম। কারণ মা আমার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছি। তবে সব মায়েরাই তাঁর সন্তানের জন্য আত্মত্যাগ করে, তাই সব মায়েদের আমার ভারতরত্ন উত্সর্গ করলাম। এই সম্মান ক্রিকেটের।
-----------------------------------------------
ক্রিকেট অ্যাকাডেমি- ইয়ংস্টারদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভাল লাগবে। তবে আমি এটা নিঃশব্দে করব।
----------------------------------------------