শ্রীসন্থদের ইমেলে ভর্তি উঠতি নায়িকা, মডেলদের প্রোফাইল
বলিউডের এক কাস্টিং ডিরেক্টর নিয়মিত ই-মেল করে উঠতি নায়িকাদের প্রোফাইল পাঠাতেন শ্রীসন্থের কাছে। গ্রেফতার হওয়ার সময়ও এক মহিলা ছিলেন তাঁর সঙ্গে। শ্রীসন্থ নিজে ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়।
বলিউডের এক কাস্টিং ডিরেক্টর নিয়মিত ই-মেল করে উঠতি নায়িকাদের প্রোফাইল পাঠাতেন শ্রীসন্থের কাছে। গ্রেফতার হওয়ার সময়ও এক মহিলা ছিলেন তাঁর সঙ্গে। শ্রীসন্থ নিজে ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়।
ক্রিকেটকে কলুষিত করেছেন। তার জন্য কোনও অনুতাপ দূরে থাক, গ্রেফতারের সময় শ্রীসন্থের হাবভাব দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না তিনি একজন অপরাধী। শ্রীসন্থের ঔদ্ধত্য দেখে পুলিসরা অবাক হয়ে যান। পুলিসদের দাবি, গ্রেফতারের সময় শ্রীসন্থের যা ঔদ্ধত্য ছিল, তাবড় অপরাধীদেরও সেরকম মানসিকতা দেখা যায় না। এমনকি শোনা যাচ্ছে শ্রীসন্থ পুলিসদের দিকে ফোন ছুঁড়ে মারতে যান। কি ছিল শ্রীসন্থের বিশ্রী ভঙ্গি। এক নজরে দেখে নেব সেটাই
গ্রেফতারের সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন শ্রীসন্থ। পুলিস তাঁকে আটক করতে গেলে, শ্রীসন্থ বলেন-
আমাকে গ্রেফতার করার সাহস পেলেন কোথা থেকে! ফোন করুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী,কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর আমায় গ্রেফতার করার সাহস দেখাবেন। বলার পরেই নিজের ফোন এক পুলিস কর্মীকে ছুঁড়ে মারেন শ্রীসন্থ। পুলিস জানিয়েছে, গ্রেফতারের সময় মদ্যপ শ্রীসন্থের সঙ্গে একজন মহিলাও ছিল।
গ্রেফতারের পর তদন্তে শ্রীসন্থের মহিলা প্রীতির আরও তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা। তাঁর ল্যাপটপ ঘেঁটে তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলিউডের একঝাঁক উঠতি নায়িকা ও মডেলের ছবি। যে আইডি থেকে বলিউডের উঠতি নায়িকার ছবি শ্রীসন্থের ইমেলে আসত, সেটা একজন মুম্বইয়ের কাস্টিং ডিরেক্টরের। এরমধ্যে বেশ কিছু ইমেল ডিলিটও করা হয়েছে।
গোটা ক্রিকেটবিশ্বকে মিথ্যার উপর বসিয়ে দেওয়া শ্রীসন্থ ধরা পড়েছেন ফোনে বুকিদের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড হওয়ার সুবাদে। সেটাই প্রমাণ হিসাবে পেশ করার জন্য ভয়েস টেস্টও হবে শ্রী ৪২০-এর!!!