স্ত্রীকে পুড়িয়ে ‘খুন’, হাসপাতালে আটকে রেখে স্বামীকে পুলিসের হাতে তুলে দিল পরিবার
স্বামীকে হাসপাতালে আটকে রেখেই পুলিস ডাকল মৃতার পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ। তাতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ স্বামী-শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। স্বামীকে হাসপাতালে আটকে রেখেই পুলিস ডাকল মৃতার পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায়।
ন’বছর আগে সৌমিত্র দত্তের সঙ্গে বিয়ে হয় চম্পার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময়ই দাবিমতো পণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ তৈরি করা হত চম্পার ওপর। এই নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। বাপেরবাড়ির দাবি, সম্প্রতি ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যান চম্পা। তারপরই বুধবার রাতে খবর আসে চম্পা অসুস্থ। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, বাথরুমের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়েছিলেন চম্পা।
বারুইপুরে মত্ত যুবকদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত সাব-ইন্সপেক্টর
শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা চম্পাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যাননি। বাপেরবাড়ি থেকে লোক গিয়েই চম্পাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মধ্যেই চম্পার স্বামীকে আটকে রেখে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিস গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।