এখনই oxygen লাগবে? কাটোয়ার মানুষের নিশ্চিন্তের ভরশা 'প্রচেষ্টা'
বিনামূল্য়ে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন ও খাবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটোয়ার সুবোধ স্মৃতি রোডের বাসিন্দা শুভেন্দু ঘোষ। দিন কয়েক আগে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। করোনা সন্দেহে চিকিৎসা শুরু হয়। অক্সিজেন নিয়ে আসতে বলেন চিকিৎসক। কোথায় মিলবে অক্সিজেন? চিন্তায় পড়ে যায় বাড়ির লোক। হন্যে হয়ে অক্সিজেনের খোঁজ শুরু হয়। এই অবস্থায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় 'প্রচেষ্টা'। কাটোয়ার স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাটি শুভেন্দু ঘোষের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: কালোবাজারি রুখতে বাদুতে Oxygen রিফিলিং সংস্থার গোডাউনে প্রশাসনের হানা
একটা-দুটো পরিবার নয়, করোনা অতিমারিতে কাটোয়ার বহু পরিবারের পাশে ত্রাতার ভূমিকায় দাঁড়াচ্ছে 'প্রচেষ্টা'। সংস্থার তরফে, দুঃস্থ রোগীদের বিনামূল্য়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। কেউ আর্থিক ভাবে সচ্ছল হলে, তাঁর থেকে নেওয়া হচ্ছে শুধুনাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিংয়ের টাকা। এছাড়া করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। জানা গিয়েছে, গত বছর লকডাউনে এই স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা শুরু করেন জয়া পাল। নিজের স্টেশনারি দোকান থেকে সামান্য় যা আয় হয়, তা নিয়েই আর্তের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি জানান, এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্থিক সাহায্য়ের জন্য় আবেদন করেন। সেখান থেকে যে টাকা ওঠে সেই টাকা দিয়ে চারটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনেন। কাটোয়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমতি নিয়ে করোনা বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম পূর্ণমন্ত্রী পেল কালনা, অতিমারিতে মানুষের পাশে থাকতে চান স্বপন
আজ জয়া পালের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন নীলাদ্রি ঘোষ, চয়নিকা মণ্ডলরা। তাঁরা জানান, এখন স্কুটারে করে রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন। পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। বেশ কয়েক মাস ধরে শিশুদের দেওয়া হচ্ছে দুধ ও শুকনো খাবার। বর্তমানে 'প্রচেষ্টা'-র পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক সাধারণ মানুষ। আর্তের সেবায় তাঁদের যে প্রতিজ্ঞা তা মুগ্ধ করেছে মানুষকে।