কোভিড বিধিতে বদল, দিঘার হোটেলে করোনা টেস্টের ছাড়পত্র প্রশাসনের
হোটেল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক জেলাশাসকের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খাতায়-কলমে আগের নিয়মই বহাল থাকছে। তবে, চাইলে এবার হোটেলেও করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যাবে। দ্রুত টিকাকরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর দিঘা, তাজপুর, মন্দিরমণিতে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল মালিকপক্ষ।
রাজ্য়ে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। কিন্তু সরকারের ভ্যাকসিন নির্দেশিকার পরই ছবিটা আমূল বদলে দিয়েছে। বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন হোটেল মালিক। পরিস্থিতি এমনই যে, অদূর ভবিষ্যতে দিঘা, মন্দিরমণি, শঙ্করপুর, তাজপুরে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ারও চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সোনারপুরে মিলল ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের সন্ধান, ধৃত স্বাস্থ্যকর্মী
কেন? সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, হোটেলে থাকতে গেলে টিকার দুটি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। না হলে সঙ্গে রাখতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। হোটেল মালিকদের দাবি, এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর দিঘায় পর্যটকদের আনাগোনা কমেছে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেকেই করোনার পরীক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছেন না। বস্তুত, পুলিশি ধরপাকড়ের পর বেশ কয়েকটি হোটেল ইতিমধ্যেই বন্ধও হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর ও মন্দিরমণির বিভিন্ন হোটেলের মালিকরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সমস্যার যদি সুরাহা না হয়, সেক্ষেত্রে হোটেল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। আর তাতেই নড়চড়ে বসল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: মহিলাদের ভ্যাকসিনের লাইনে পুরুষরা! ধুন্ধুমারকাণ্ড শিলিগুড়িতে
গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাক পূর্ণেন্দু মাঝি। কী সিদ্ধান্ত হল? জেলাশাসক জানিয়েছেন, 'খুবই ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ওঁনারা কোভিড বিধি মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছেন। হোটেলে আমরা টেস্ট করার ছাড়পত্র দিয়েছি। যদি কারও করোনা ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে আর দিঘায় থাকা যাবে না'। জানা গিয়েছে, দিঘায় হোটেল কর্মীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার। তাঁদের বেশিরভাগই ভ্যাকসিন পাননি এখনও। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত টিকাকরণের দাবি জানান হোটেল মালিকরা। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলেছে।