ভিক্ষা করেই দিন গুজরান, দম্পতিকে পাকা বাড়ি গড়ে দিলেন প্রতিবেশীরা

বার্ধক্য তাঁকে গ্রাস করেছে। খেটে খাওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। একমাত্র সন্তান, তারও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। স্ত্রী পদ্মরানী দাসকে কার্যত ভিক্ষে করেই সংসার  চালাতে হয়। 

Updated By: Sep 22, 2020, 06:27 PM IST
ভিক্ষা করেই দিন গুজরান, দম্পতিকে পাকা বাড়ি গড়ে দিলেন প্রতিবেশীরা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেঁড়া কাথায় শুয়ে স্বপ্ন কোনদিন দেখেননি নির্মল দাস এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু প্রতিবেশীর মনুষ্যত্বের মই বেয়ে তাঁরা পৌঁছে যান 'মানবিক' বাড়িতে। নির্মলবাবুরা স্বপ্ন না দেখলেও ছুঁয়ে ফেললেন স্বপ্নকে। 

কুঁড়ে ঘর থেকে 'মানবিক' বাড়ির বাসিন্দা। এটা বাস্তব। আর এই স্বপ্নের কারিগর হলেন দেবাশিস মুখার্জি। চুঁচুড়া পুরসভার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধুপল্লী এলাকার বাসিন্দা নির্মল দাস। বার্ধক্য তাঁকে গ্রাস করেছে। খেটে খাওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। একমাত্র সন্তান, তারও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। স্ত্রী পদ্মরানী দাসকে কার্যত ভিক্ষে করেই সংসার চালাতে হয়। একমুঠো অন্ন জোগাড় করতেই সারাদিন কেটে যায়। 

আরও পড়ুন: সাংসারিক অশান্তির জের! শ্বশুড়বাড়িতে মার খেয়ে আত্মঘাতী যুবক

তাঁদের কাছে পাকা বাড়ি এক দুঃস্বপ্ন। তাই ভেঙে পড়া জরাজীর্ণ ঘরেই কোনওভাবে জোড়াতালি দিয়ে দিন কাটে। তাঁদের এই দুরবস্থা, প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করতেন দেবাশিস মুখার্জি। কয়েকজন নিজের সঞ্চিত অর্থ ও বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে অসহায় পরিবারকে তৈরি করে দিলেন পাকা ছাদ দেওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁই।

এ যেন "মেঘ না চাইতেই জল।' শেষ জীবনে এই সুখ পেয়ে বৃদ্ধ দম্পতির চোখ দিয়ে বইছে আনন্দ অশ্রু । নিজেদের অর্থ ব্যয় করে  গরীব মানুষের  মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পেরে মানসিক শান্তি পেয়েছেন দেবাশিসবাবুরা । তাই বাড়িটির নামকরণ করেছেন "মানবিক।' দেবাশিস মুখার্জি কোন জনপ্রতিনিধি নন। শুধু বিবেক ,মনুষ্যত্বকে হাতিয়ার করে আরও এগিয়ে যাওয়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

.