৩.৬০ কোটিতে কোম্পানি, সঙ্গে ১৫ কোটির সম্পত্তি মেয়েকে লিখে দিতে মণীশকে বাধ্য করেন কেষ্ট!

শুধু কোম্পানির স্বত্বা বিক্রি করা-ই নয়, মণীশ কোঠারিদের আমলে এই কোম্পানির নামে কেনা সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়। ইচ্ছে না থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই এই কোম্পানি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন মনীশরা। 

Updated By: Mar 19, 2023, 01:15 PM IST
৩.৬০ কোটিতে কোম্পানি, সঙ্গে ১৫ কোটির সম্পত্তি মেয়েকে লিখে দিতে মণীশকে বাধ্য করেন কেষ্ট!

প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত-সুকন্যার 'সাম্রাজ্য' বিস্তার নিয়ে সামনে এল ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিটি আসলে মণীশ কোঠারি অ্যান্ড গ্রুপের। মণীশের সঙ্গে আরও ১৬ জন ছিল ওই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার। ২০১৮ সালে ওই কোম্পানিটি জোর করে সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে বাধ্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। 

জানা গিয়েছে, ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানিটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করেছিলেন মণীশ কোঠারিরা। শুধু কোম্পানির স্বত্বা বিক্রি করা-ই নয়, মণীশ কোঠারিদের আমলে এই কোম্পানির নামে কেনা সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়। কোম্পানির নামে থাকা ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি অনুব্রত নির্দেশে সুকন্যাকে দিতে বাধ্য হন মণীশরা। ইচ্ছে না থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই এই কোম্পানি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন মনীশরা। একইসঙ্গে মণীশের মাধ্যমেই নীর ডেভলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি  চালু করেন সুকন্যা।

সিবিআইয়ের জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই। যার উল্লেখ সিবিআই-এর চার্জশিটেও রয়েছে। প্রসঙ্গত, ইডি অফিসারদের কাছে আগেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মণীশ কোঠারি। অনুব্রতর হিসাব রক্ষকের স্পষ্ট দাবি, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার ১৬ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল। জানান, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত নিজেই। তিনি শুধু পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে নির্দেশ কার্যকর করেছেন। 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রাখার দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেন মণীশ। পাশাপাশি সুকন্যা মণ্ডলের একাধিক সংস্থার হিসেব দেখতেন তিনি। মনে করা হচ্ছে অনুব্রত ও সুকন্যার বিপুল টাকার লেনদেন, তাঁদের শেল কোম্পানির টাকার আয়তন বাড়াতেই ব্য়বহার করা হয়েছে মণীশ কোঠারিকে।  সায়গল হোসলেন অ্যাকাউন্টও দেখতেন মণীশ। অনুব্রতর কালো টাকা সাদা করেছেন এই মণীশই। 

আরও পড়ুন, ধোপে টিকল না জিতেন্দ্র তিওয়ারির আবেদন, ৮ দিনের পুলিস হেফাজতের কড়া নির্দেশ

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)  

.