হিম্মত থাকলে জরুরি অবস্থার জন্য সুপারিশ করুন, Dhankhar-কে চ্যালেঞ্জ Kunal-এর
পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না, পঞ্চায়েত উপনির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এটা তো জরুরি অবস্থারই সমান। গণতান্ত্রিক পরিবেশ এ রাজ্যে নেই। মন্তব্য রাজ্যপালের
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার মতো। মঙ্গলবার জি ২৪ ঘণ্টার 'আপনার রায়' অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার দাবি, রাজভবনটা নাটক করার জায়গা নয়। ক্ষমতা থাকলে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ করুন।
কী বলেছিলেন রাজ্যপাল?
মঙ্গলবার Apnar Ray অনুষ্টানে যোগ গিয়ে রাজ্যের একাধিক বিষয় টেনে আনেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিস-প্রশাসনের রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সরব মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের বিরুদ্ধে আমি যেসব ইস্যু তুলে ধরেছি তা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বাংলায় একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। সমাজের যেকোনও স্তরের মানুষের মধ্যে ভয় রয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার মতে বলেই আমার মনে হয়েছে। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আমি বলি, আপনি সরকারি কর্মচারী হয়ে রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করবেন না। এটা আপনার কাজ নয়। এভাবে আপনারা গণতন্ত্রের উপরে কুঠারাঘাত করতে পারেন না।
আরও পড়ুন-এখনই কার্যকর হচ্ছে না CAA, আরও ৩ মাস সময় কেন্দ্রকে
বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার এই ধরনের মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)। জি ২৪ ঘণ্টার আপনার রায়(Apnar Ray) অনুষ্ঠানেও এদিন সেই একই কথাই টেনে আনেন তিনি। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছেন রাজ্যপালকে। কুণাল ঘোষ বলেন, দলীয় পদাধিকারীর মতো আচরণ করছেন রাজ্যপাল নিজেই। রাজ্য বিজেপিতে তত্কাল বিজেপি তৈরি হয়েছে। পরিযায়ী বিজেপিও রয়েছে। রাজ্যপাল কোন বিজেপি তা তিনি নিজেই ঠিক করুন। উনি বলছেন পুলিসের এই করা উচিত, ওই করা উচিত। রাজ্যপালের পদের একটা সাংবিধানিক সম্মান রয়েছে। উনি তো নিজে রাজনীতি করছেন। উনি যে বলছেন রাজ্যে একটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্ঠি হয়েছে তা একেবারে ডাহা মিথ্যে। বিজেপির(BJP) শেখানো বুলি বলছেন উনি। লোকসভা ভোটে বিজেপি যখন ১৮টা আসন পান তখন গণতন্ত্র থাকে। আর বিধানসভা ভোটে যখন ৩-০ হারেন তখন ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়! রাজ্যপালকে যথাযথ সম্মান দিয়েই বলছি, আরে মশায় আপনি নাটক করছেন কেন? রাজভবনটা নাটকের মঞ্চ নাকি? সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জরুরি অবস্থার কথা না বলে হিম্মত থাকলে জরুরি অবস্থার জন্য সুপারিশ করুন না! তারপর বাংলার মানুষ বুঝে নেবে।
আরও পড়ুন-COVAXIN প্রয়োগ শুরু, প্রথম টিকা নিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য় শিক্ষা অধিকর্তা
রাজ্যে জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। রাজ্যপালের এমন মন্তব্য নিয়ে বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা তো ভয়ের বাতাবরণেই রয়েছি। কোনও সরকারি অফিসার ফোনে মুখ খুলতে চান না। খুব কম অফিসার রয়েছেন যাঁরা ফোন ধরেন। এখানে বিরোধী দলের নেতাকে পর্যন্ত হেনস্থা করা হয়। পুলিস প্রশাসন নির্বিকার। শাসক দলের লোকজন চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন। এটা জরুরি অবস্থা নয় তো কি? বিধানসভা অধিবেশন ঠিকমতে হচ্ছে না। বাজেট পাসের জন্য একটা সময় দেওয়া হয় শুধুমাত্র। পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না, পঞ্চায়েত উপনির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এটা তো জরুরি অবস্থারই সমান। গণতান্ত্রিক পরিবেশ এ রাজ্যে নেই।