বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদহের সুজাপুর; শূন্যে গুলি, পুলিসের ২ গাড়িতে আগুন জনতার
জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। সেই অবরোধ তুলতে গেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জাতীয় সড়কের একাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাম ও বিরোধীদের বনধ ঘিরে তোলপাড় মালদহের কালিয়াচক। জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। সেই অবরোধ তুলতে গেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জাতীয় সড়কের একাংশ।
আরও পড়ুন-ধর্মঘটের নামে দাদাগিরি! মল্লিকবাজারে হুমকি দিয়ে দোকান বন্ধ করল ধর্মঘটিরা
সকাল থেকে কোনও অবরোধ না থাকলেও কালিয়াচকের সুজাপুরে দোকানপাট ছিল বন্ধ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ছিল বেশ কম। এর মধ্যেই সকাল ১০টা নাগাদ অবরোধ শুরু করে বাম-কংগ্রেসের কর্মীরা। পতাকা ফেস্টুন নিয়ে তাঁরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। কংগ্রেসের দুর্গ হওয়ায় অবরোধকারীদের মধ্য কংগ্রেসের সমর্কথকরাই ছিলেন বেশি।
ঘণ্টা দেড়েক পেরিয়ে যাওয়ার পর বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আসরে নামে পুলিসের বড় বাহিনী। এদিকে ততক্ষণে অবরোধকারীদের সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি এনআরসি, সিএএ নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ আগে থেকেই ছিল। সেইসব এনআরসি বিরোধীরাই অবরোধ কর্মসূচিতে এসে যোগ দেয়। এতেই দলে ভারী হয়ে যায় অবরোধকারীরা।
আরও পড়ুন-বনধের সমর্থনে মাঝ রাস্তায় দাবা খেললেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা, বাসের মাথায় উঠেও প্রতিবাদ
এদিকে, ভিড় বাড়তে দেখে জনতাকে সরানোর চেষ্টা করে পুলিস। মাঝে মধ্যে তেড়েও যায় তাদের দিকে।, পাল্টা পাথর ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস, শূন্য গুলিও চালানো হয়। এতেই বিস্ফোরণের আকার নেয় জনতার রোষ। পুলিসকে পাথর নিয়ে তাড়া করে মানুষজন। পুলিসকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। গোটা দাতীয় সড়ক ভরে যায় ভাঙা ইট-পাথরে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ২টি গাড়ি। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুজাপুর।