Malbazar: যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বাঁধ, প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা...

Malbazar: তিন দশকে বাঁধ ভেঙে লোকালয় তছনছ করার একাধিক অতীত ইতিহাস রয়েছে চেল নদীর। এবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, জলস্রোতের ধাক্কায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর মাঝখানে বালি-পাথর জমে উঁচু হয়ে গিয়েছে।

Updated By: Sep 15, 2023, 12:20 PM IST
Malbazar: যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বাঁধ, প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গরুবাথানের পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা চেল নদীতে যখন-তখন জল বেড়ে যায়। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই হড়পা বান এসে যায় চেল নদীতে এবং নদীর জল হঠাৎ করে বেড়ে যায়। জলস্তর বেড়ে জাতীয় সড়কের উপর থাকা সেতুর কাছে উঠে আসে জল। এখানে নদীর চেহারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল বলে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির কুকুর নয়, বাংলার চাকর'

তীব্র গর্জনে নদীর জলস্রোত সরাসরি পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। সেই জল গিয়ে ক্ষুদিরামপল্লির দিকের বাঁধে ধাক্কা মারে। এর ফলে তারজালি বিহীন দুর্বল বাঁধের বোল্ডার সব খসে পড়ে বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মত, যে প্রচণ্ড গতিতে নদীর জলস্রোত তখন বাঁধে ধাক্কা মারছিল তাতে যে কোনও মুহুর্তে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে যেতে পারত ক্ষুদিরামপল্লি এলাকা-সহ নিচু এলাকায়।

বিগত তিন দশকে বাঁধ ভেঙে লোকালয় তছনছ করার একাধিক অতীত ইতিহাস রয়েছে চেল নদীর। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, জলস্রোতের ধাক্কায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সময় নদীর মাঝখানে বালি-পাথর জমে উঁচু হয়ে গিয়েছে। তাই নদীর মাঝখানে জল প্রবাহিত হতে পারছে না। তা না পেরে নদীর দুই কুলে ধাক্কা মারছে চেল নদীর জল। যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে। 

সম্ভাব্য এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নদীর উঁচু চরে ড্রেজিং করে জলরাশিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। চেল নদীর পূর্ব প্রান্তে রয়েছে বালি-পাথরের ফ্যাক্টরি। যেখানে প্রায় ২০০-৩০০ শ্রমিক কাজ করেন। এই ফ্যাক্টরির মালিক রতন গর্গ বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে, চেল নদীর জল ক্ষতি করতে পারে চেল নদীর বাঁধের। তাতে বিপদের আশঙ্কা করছি আমরা। পাহাড়ি এই নদী যদি বাঁধ ভেঙে ফ্যাক্টরি বা গ্রামের দিকে ঢুকে যায়, তাহলে প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই অবিলম্বে নদীর মাঝখানে ড্রেজিং করা জরুরি। কারণ এই মুহুর্তে নদীর জল রিভারবেডের মাঝখান দিয়ে না বইলে, সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। 

এ ব্যাপারে প্রশাসনকে চিঠি লেখাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্যাক্টরির মালিক রতন গর্গ বলেন, প্রশাসনকে চিঠি মারফত বিষয়টা জানিয়েছি আমরা। যাতে গ্রামগুলি বাঁচে, আমাদের ফ্যাক্টরি বাঁচে এবং এলাকার কৃষিজমিও বাঁচে, সেজন্য আমাদের কোম্পানিই নিখরচায় নদীতে ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ ঠিক করে দেবে।  

এ প্রসঙ্গে মালবাজারের ব্লক প্রশাসনসূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে সেচ দফতর ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নদী বাঁধের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন: Malbazar: রেলচালকের তৎপরতায় আবারও প্রাণে বাঁচল বুনো হাতি...

অন্য দিকে, বর্ষার জন্য তিন মাস ধরে বন্ধ ডুয়ার্সের সব নদী। এই সময় নদীতে নেমে কোনও গাড়ি বালি-পাথর তুলতে পারবে না। তার পরেও গতকাল রাতে মাল ব্লকের ধুমসিগাড়া এলাকায় ঘীস নদী থেকে একটি ১২ চাকার ডাম্পারকে বালি-পাথর লোড করে শিলিগুড়ি যেতে দেখা যায়। তবে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে মালবাজার পুলিস আটক করে ডাম্পারটিকে। রাতে মালবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় গাড়িটিকে। আটক করা হয়েছে গাড়ির চালককে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.