তৃণমূল কংগ্রেস করতে হলে ত্যাগী হতে হবে: মমতা

সিপিএম লোভী, বিজেপি ভোগী আর তৃণমূল ত্যাগী

Updated By: Nov 25, 2020, 03:28 PM IST
তৃণমূল কংগ্রেস করতে হলে ত্যাগী হতে হবে: মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আজ ধারে-ভারে তীব্র রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন। সেখানে তাঁর আক্রমণের নিশানায় এ রাজ্যের তিনদলই-- বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম। ছেড়ে দেননি নিজের দলকেও।  

ভোট এলেই বাতাসে টাকা ওড়ে। এ বিষয়ে বিজেপির দিকেই অভিযোগের তির তাঁর। বলেন, ফোন করে টাকার অফার দেয় ওরা। আর সেই প্রসঙ্গেই শুধু সম্ভাব্য দাতা নয়, সম্ভাব্য গ্রহীতার কথাও বলেন তিনি। নিজের দলের এক অংশের দোলাচলে থাকা নেতাদের সমালোচনা করে তিনি জানান, 'তৃণমূল কংগ্রেস করতে হলে ত্যাগী হতে হবে। লোভী হওয়া চলবে না।' আর তারপরই তিনি বলে দেন-- সিপিএম হল লোভী, বিজেপি ভোগী আর তৃণমূল ত্যাগী। 

সিপিএমের অল্পই সমালোচনা করেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আবহের প্রেক্ষিতে বিজেপির সমালোচনা কাঙ্ক্ষিত ছিল, আর তা করেছেনও মমতা। টাকা ছড়ানো, ধমকানো-চমকানো, জেলে ভরে দেওয়া, বিহার ভোট প্রসঙ্গে নানা মন্তব্য করে মমতা গো-প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, 'ওরা (বিজেপি) বলছে, গোমূত্রে করোনার আরোগ্য হয়। হল কই? বলছে, গোমূত্রে সোনা আছে। তাই যদি হয়, আমি আপনাদের গোরু দেব। আপনারা সোনা করুন। ওরা গোবর নিয়ে কথা বলছেন, আরে, আগে তো ঘুঁটে দেওয়া শিখুন, তারপর তো গোবর!' 

তবে বেশিক্ষণ এই রসিকতা-মোডে থাকেননি মমতা। বিজেপিকে একটি 'অপদার্থ' রাজনৈতিক দল বলেন তিনি। বলেন, ওরা দেশে বেকার বাড়িয়ে দিয়েছে ৪০ শতাংশ, রেল-কয়লা-বিমান সব প্রাইভেট করে দিচ্ছে, এমপিল্যাডের টাকা পর্যন্ত বন্ধ। বাঁকুড়া শান্তিতে আছে, সেটা সহ্য হচ্ছে না বিজেপির। বলেন, বছরে একদিন এপ্রিল ফুল হয়, কিন্তু বিজেপি-র ৩৬৫ দিনই এপ্রিল ফুল, ৩৬৫ দিনই মানুষকে বোকা বানায় ওরা। শেষে বিজেপিকে 'গারবেজ অফ লাইজ', মিথ্যার ডাস্টবিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:  জেলে থেকে বাংলাকে জেতাব: বাঁকুড়া থেকে মমতা

.