ক্ষমতা দখলে ভাইয়ে-ভাইয়ে লড়াই, বরাকরে তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত মাসতুতো ভাই
কে এই তিনমূর্তি ? টিঙ্কু খান, কাদির খান, শাহিদ খান সম্পর্কে মহম্মদ খালিদের মাসতুতো ভাই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পারিবারিক ঝগড়া ছিলই, সঙ্গে জুড়ে যায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই। নিটফল আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর খুন। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে খালিদের মাসতুতো ভাই টিঙ্কু খানকে। বাকি দুই ভাইয়ের খোঁজে তল্লাসি চলছে।
খালিদের ভাইয়ের অভিযোগ, টিঙ্কু-কাদির-শাহিদ, এই তিনজনই দাদাকে খুন করেছে। কে এই তিনমূর্তি ? টিঙ্কু খান, কাদির খান, শাহিদ খান সম্পর্কে মহম্মদ খালিদের মাসতুতো ভাই। কাদির যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। টিঙ্কু ও শাহিদও তৃণমূলের ব্লক স্তরের নেতা। খালিদের পরিবারের সঙ্গে কাদিরের পরিবারের শত্রুতা দীর্ঘদিনের। বিষয় -সম্পত্তি নিয়েই মূলত দুই পরিবারের ঝগড়া। পরে তার সঙ্গে যোগ হয় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে পুরভোটে টিকিট পান খালিদ। মানতে পারেননি কাদির। দুই পরিবারের মধ্যে মন কষাকষি আরও বাড়ে। ২০১৭ সালেও দুই পরিবারের ঝামেলায় গুলি চলে। তার আগে ২০১৪ সালেও একবার একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ জানায় থানায়। খুনের জন্য সরাসরি কাদির ও তার দুই ভাইয়ের দিকে আঙুল তুলছে খালিদের পরিবার। টিঙ্কুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কিন্তু, দাদার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ বোন।
আরও পড়ুন, 'দাদা' দিলীপ ঘোষই বাংলার সমস্যা, কিছুই করেননি, বিজেপির চা-চক্রকে খোঁচা পার্থর
খালিদ খুনে টিঙ্কু ছাড়া বাকিদের আর কী ভূমিকা ছিল খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিকে কাদিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। অন্যদিকে তৃণমূল মহাসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, দোষীরা শাস্তি পাবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে খুন হন আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ খালিদ খান। বাইকে চড়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ৩ দুষ্কৃতী। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন মহম্মদ খালিদ।