Covid Vaccine: প্রথম ডোজের পর মৃত্যু, ৮ মাস পর এল মৃতার দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেট!
২৩ মার্চ করোনার প্রথম ডোজ নেন। কিন্তু তার একমাসের মাথায় করোনা আক্রান্ত হয়েই এপ্রিলের ২৯ তারিখে মৃত্যু হয় বৃদ্ধার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। এদিকে তাঁর মৃত্যুর ৮ মাস পর এল দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেট। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে ডানকুনিতে। আর তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতর।
ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সুভাষপল্লির বাসিন্দা ছিলেন সরস্বতী দাস (৬২)। চলতি বছরের ২৩ মার্চ করোনার প্রথম ডোজ নেন। কিন্তু তার একমাসের মাথায় করোনা আক্রান্ত হয়েই এপ্রিলের ২৯ তারিখে তার মৃত্যু হয়। এদিকে শনিবার ২০ নভেম্বর বৃদ্ধার ছেলের কাছে মেসেজ আসে যে সরস্বতী দাসের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইট থেকে শংসাপত্র সংগ্রহ করে নিতেও বলা হয় মেসেজে। আর তাতেই ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি।
বৃদ্ধার ছেলে বিরাজ দাস জানিয়েছেন, মার্চ মাসে টিকা দেওয়া হয় মাকে। পরের মাসে অসুস্থ হয়ে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষায় করোনা ধরা পরে। তারপর তিনি ২৯ এপ্রিল প্রয়াত হন। মায়ের সিম কার্ডটা তিনি ব্যবহার করেন। সেই নম্বরেই শনিবার সরস্বতী দাসের মেসেজ আসে দ্বিতীয় টিকার হওয়ার। বিষয়টায় অবাক হয়ে এরপর সার্টিফিকেটও ডাউনলোড করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, সরস্বতী দাসের নাম, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর সবই রয়েছে শংসাপত্রে।
স্বাভাবিকভাবে এরপরই প্রশ্ন উঠেছে যে, প্রথম ডোজের ৮ মাস পর সার্টিফিকেট কি করে হয়? সর্বোপরি একজন মৃতার দ্বিতীয় ডোজ, তার আবার সার্টিফিকেট কি করে হয়? অন্যদিকে, এঘটনা সামনে আসতেই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির ডানকুনি মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক গুঞ্জন চক্রবর্তীর অভিযোগ, প্রশাসনের যাঁরা টিকাকরণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের গাফিলতিতেই এসব হচ্ছে। দুর্নীতির কারণেই একজন মৃত ব্যক্তির নামে ভ্যাকসিন ইস্যু হচ্ছে।
আরও পড়ুন, Garumara: রাত্রিবাস না করেও গরুমারায় হাতি সাফারির সুযোগ মিলবে এই প্রথম
যদিও ডানকুনি পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য তথা শহর তৃণমূল যুব সভাপতি শম্ভু সাউ দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বলেন, "এটা সম্পূর্ণ যান্ত্রিক ত্রুটি। অথবা ভুলবশত হয়েছে। আধার আর মোবাইল নম্বর নিয়ে ডেটা এন্ট্রি করার সময় ভুল হয়ে থাকতে পারে। বিজেপি অনেক কিছুই বলবে। ওরা তো পশ্চিমবঙ্গকে ভ্যাকসিন-ই দিতে চায়নি।"