DA Protest | Akhil Giri: 'কটাক্ষ নয়, অখিল গিরির আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিৎ', পাল্টা দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
অখিল গিরি মন্তব্যের পাল্টা দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। প্রতিটি রাজ্য সরকারি কর্মীর বছরের ৬৫ দিন সবেতন ছুটি আছে। এই ছুটি বিক্রি করাও যায়। আবার উপভোগ করা যায়। তারা এই ছুটি যোগ্য প্রার্থীদের শূণ্য পদে নিয়োগ এবং সরকারি কর্মীদের হকের ডিএ আদায়ের আন্দোলনে কাজে লাগাচ্ছেন।
অয়ন ঘোষাল: কটাক্ষ নয়, অখিল গিরির আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিৎ। কারণ আমরা আমাদের বকেয়া প্রাপ্য ছুটি ব্যক্তিগত কাজে না লাগিয়ে সমাজ বদলের কাজে লাগাচ্ছি।
অখিল গিরি মন্তব্যের পাল্টা দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। প্রতিটি রাজ্য সরকারি কর্মীর বছরের ৬৫ দিন সবেতন ছুটি আছে। এই ছুটি বিক্রি করাও যায়। আবার উপভোগ করা যায়। তারা এই ছুটি যোগ্য প্রার্থীদের শূণ্য পদে নিয়োগ এবং সরকারি কর্মীদের হকের ডিএ আদায়ের আন্দোলনে কাজে লাগাচ্ছেন।
এতে কারুর কিছু বলার থাকতে পারেনা। তাই পাল্টা অখিল গিরিকেই কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন: SSC Scam: প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমবে কয়েক হাজার, কীভাবে এমন বিভ্রাট!
সোমবার শহীদ মিনারে ডিএ-র দাবিতে অবস্থানের ১০৯ তম দিন। কোনও সরকারি কর্মীই টানা ১০৯ দিন ছুটি নিয়ে বসে নেই বলে দাবি মঞ্চের সদস্যদের। উদাহরণ স্বরূপ তারা দাবি করেছেন, যারা শিক্ষক, তারা এই মুহুর্তে রাজ্যের সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি চলায় মঞ্চে এসেছেন। আবার এরা চলে গেলে অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এভাবেই রিলে পদ্ধতিতে তারা টানা অবস্থান ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই তাদের নিয়ে যারা কটাক্ষ করছেন, তাদেরই পাল্টা কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
সোমবার তৃণমূল নেতা অখিল গিরি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে জেনে নিলাম,এতদিন কামাই করা বেতন নিবে আবার কি? যাইহোক করছে করুক’।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে জেলাশাসক অফিসে সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বর্ধিত সভা। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, কারামন্ত্রী অখিল গিরি। সেই সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। তার আগে আন্দোলনকারীদের অফিসে হাজিরা নিয়ে বিস্তরভাবে জেনে নেন ফেডারেশনের কর্মীদের কাছ থেকে।
‘এতদিন তারা রাস্তায় আছে, থাকতেই পারে। কিন্তু কাজ না করে বেতন নেবে, সেটা হয় না’, একথাও বলেন অখিল গিরি।