ফের টক্কর রাজ্যপাল-রাজ্যের; সংবিধান মেনেই কাজ করি, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বললেন ধনখড়
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে জগদীপ ধনখড় জানান, রাজ্যপাল এবং চ্যান্সেলর হিসাবে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সংবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ইউজিসি নির্ধারিত পে স্কেল চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন শিক্ষক সমিতিগুলির উদ্দেশে মমতা বলেন, যদি কোনও সমস্যা হয় আমাদের কাছে আসুন, অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ‘অন্য কোথাও’ আসলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই কটাক্ষ করে বলা, এমনটাই মনে করছে শিক্ষা মহল। আজ তারই জবাব টুইটারে দিলেন খোদ রাজ্যপালই।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে জগদীপ ধনখড় জানান, রাজ্যপাল এবং চ্যান্সেলর হিসাবে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সংবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই। ওনার ‘বিটুইন দ্য লাইনের’ অর্থ কী? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি যে বেতন বাড়ানোর দাবি তুলেছিল, তাতে সহমত প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। জানা যায়, এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটার সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়কে ফোন করেন তিনি। জুটার অভিযোগ শুনে মুখোমুখি আলোচনায় সম্মত হন আচার্য। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছে জগদীপ ধনখড়কে। যাদবপুর-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ধনখড়ের বৈঠক, প্রশাসনিক আলোচনায় ‘অতি সক্রিয়তার’ অভিযোগ তোলা হয়। রাজ্যপালের সাংবিধানিক এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতার মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন- যুবকের হাতেই ফাটল বোমা, উড়ে গেল দুই হাতের কব্জির অংশ
উল্লেখ্য, নয়া বেতনক্রমের দাবি নিয়ে আগামী ১৯ এবং ২০ নভেম্বর রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জুটা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দেয় কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং ওয়েবকুটা। গতকাল, কিছুটা দাবি মেনে নিয়ে আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে ইউজিসি-র নির্ধারিত পে স্কেল চালুর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। অতিথি শিক্ষকদের বেতন ও অবসরের প্রাপ্য টাকাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।