দলের নির্দেশ মেনে চলব, দলবদল নিয়ে চাপের মুখে সাবধানী প্রতিক্রিয়া মুকুলের
লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলবদলের ধুম পড়ে। দলবদল করে ভোটে লড়ার টিকিট পান সৌমিত্র খান, খগেন মুর্মু, অর্জুন সিং। ভোটে জিতে দলের মুখ রেখেছেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। চাপের মুখে আপাতত ধীরে চলো নীতি নিলেন মুকুল রায়।
কাঁচরাপাড়া ও হালিসহর পুরসভার কাউন্সিলররা তৃণমূলে ফেরায় জোর ধাক্কা খেয়েছে মুকুল রায়ের তৃণমূল ভাঙানোর উদ্যোগ। এর পরই দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ময়দানে নেমেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। চাপের মুখে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দিল্লিতে গিয়ে যোগদান বন্ধ। এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাবতীয় যোগদান হবে রাজ্য সদর দফতরেই। রাজ্য নেতৃত্বের সেই নির্দেশ তিনি মেনে চলবেন বলে মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে জানিয়েছেন মুকুল।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করতে গেলে নিতে হবে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন। দিল্লি গিয়ে যোগদান নেওয়া যাবে না। সোমবার স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য স্তরের কোনও নেতা, বিধায়ক বা সাংসদ দলবদল করতে চাইলে লাগবে দিলীপ ঘোষের অনুমতি। জেলা স্তরে অনুমতি নিতে হবে জেলা নেতৃত্বের।
লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলবদলের ধুম পড়ে। দলবদল করে ভোটে লড়ার টিকিট পান সৌমিত্র খান, খগেন মুর্মু, অর্জুন সিং। ভোটে জিতে দলের মুখ রেখেছেন তাঁরা। কিন্তু গোল বাঁধে ভোট মিটতে। রাজ্যে বিজেপির উত্থানে দলে দলে কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে যোগ দিতে থাকেন বিজেপিতে। সৌজন্যে অবশ্যই মুকুল রায়।
কর্মীর অভাবে উদ্বোধনের ১৪ দিন পর শুরু হল এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টার
গোল বাঁধে লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামের যোগদানে। বীরভূমে অনুব্রতর বিপরীত গোষ্ঠীর বলে পরিচিত হল মনিরুলের নামে মোটেও সুনাম নেই। বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া ও হিংসা ছড়ানোয় নাম জড়িয়েছে তাঁর। এহেন মনিরুল দলে যোগ দিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
এর পরই নড়েচড়ে বসে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান মনিরুলের যোগদানের ব্যাপারে কোনও তথ্যই নেই তাঁর কাছে। এর পরই বিজেপিতে বেনো জল রুখতে বাঁধ দেয় RSS. জানানো হয়, রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া বিজেপিতে যোগ দিতে পারবে না তাই।