সংরক্ষণের গেরোয় টিকিট নিয়ে টানাটানি তৃণমূল অন্দরে, চিন্তায় হেভিওয়েট কাউন্সিলররা
মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের আগের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডও সংরক্ষণের আওতায়। ফলে, কিছুটা হলেও চিন্তায় তিনি। খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই পুরসভার অন্দরে বেজে গেছে ভোটের দামামা
নিজস্ব প্রতিবেদন: এপ্রিলেই সম্ভবত কলকাতায় পুরভোট। তার আগে এদিন বেরলো ওয়ার্ডভিত্তিক সংরক্ষণ তালিকা। খসড়া তালিকায় ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ড তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ১০ই ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সংরক্ষণের গেরোয় হেভিওয়েট কাউন্সিলরা। চার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, রতন দে এবং দেবব্রত মজুমদার এবার নিজেদের জেতা ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারবেন না। সুশান্ত ঘোষ, ইন্দ্রজিত ভট্টাচার্য-র মতো বরো চেয়ারম্যানদেরও একই অবস্থা। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের আগের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডও সংরক্ষণের আওতায়। ফলে, কিছুটা হলেও চিন্তায় তিনি। খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই পুরসভার অন্দরে বেজে গেছে ভোটের দামামা। কে টিকিট পাবেন, কে পাবেন না তা নিয়ে তৃণমূলে শুরু হয়ে গেছে জোর আলোচনা। তৃণমূল সূত্রে খবর, যেসব হেভিওয়েট কাউন্সিলার, ভাল কাজ করেছেন, তাঁদের ওয়ার্ড
আরও পড়ুন- মত্সজীবীদের জালে উঠল সামুদ্রিক শূকর, ভিড় জমল মন্দারমনির সৈকতে
সংরক্ষিত হয়ে গেলে পাশের ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হবে। যেসব তৃণমূল কাউন্সিলারের ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে, তাঁদের অনেকেই আবার স্ত্রীর জন্য টিকিটের তদ্বির করছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে, এইবার কী হবে তা নিয়েও চলছে জোর কানা-ঘুষো। এদিন কলকাতার সঙ্গেই রাজ্যের আরও ৯২টি পুরসভা ও কর্পোরেশনের ওয়ার্ডভিত্তিক সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, উত্তরপাড়া ও গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব ও অমল সরকাররা এবার আর নিজেদের জেতা ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না।