Bhangar: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভাঙড় থানা পরিদর্শনে কলকাতা পুলিসের প্রতিনিধিদল
লাগাতার অশান্তির জের। ভাঙড় থানাকে এবার কলকাতা পুলিসের আওতায় আনার ভাবনা। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পর তৎপরতা তুঙ্গে।
প্রসেনজিৎ সরদার: রাজ্য পুলিসের অধীনে আর নয়। মুখ্য়মন্ত্রী নির্দেশে ভাঙড় থানা পরিদর্শন করল কলকাতা পুলিসের প্রতিনিধিদল। বাদ গেল না কাশীপুর থানাও।
আরও পড়ুন: Bhangar: গণনার পর থেকে অনুপস্থিত ভাঙড় ২-এর বিডিও, শওকত মোল্লার তোপের মুখে আইএসএফ
মনোনয়ন থেকে ভোটগণনা। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে বারবার অশান্তির শিকার ভাঙড়। যে ভোটগণনা হয়, সেদিন রাতে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF সমর্থকরা। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে এলাকায়! গুলিবিদ্ধ হন খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাখসুদ হাসান ও তাঁর দেহরক্ষী।
এর আগে, মনোনয়নের সময়েও কার্যত রোজই অশান্তি হয় ভাঙড়ে। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় শেষদিনে। ভাঙড়ে ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। সঙ্গে গুলি! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২। একজন ISF কর্মী, আর একজন তৃণমূলকর্মী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও বেশ কয়েকজন।
কেন লাগাতার অশান্তি ভাঙড়ে? রীতিমতো বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের পর, গতকাল বুধবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনসে পুলিসকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সেই অনুষ্ঠানে ভাঙড় থানাকে কলকাতা পুলিসের আওতায় আনার প্রস্তাব দেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।
এদিন ভাঙড় থানার পরিদর্শন করে কলকাতা পুলিসের প্রতিনিধিদল। সেই দলে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার, রাজ্য পুলিসের ডিএসপি, সিআই, আইসি ও ওসি-রাও।
আরও পড়ুন: Asansol: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, চরম উত্তেজনা আসানসোলের স্কুলে!
বিভিন্ন কারণে রাজ্য পুলিসের আওতায় থাকা একাধিক থানাকে কলকাতা পুলিসের অধীনে আনা হয়েছে আগেও। বস্তুত, ভাঙড় বিধানসভা এলাকার বানতলা লেদার কমপ্লেক্স থানাটিও এখন কলকাতা পুলিসের অধীনে। সেই তালিকায় এবার জুড়তে চলেছে ভাঙড় ও কাশীপুর থানাও।