Balurghat: টিউশনে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন! শিক্ষিকার বাবাকে বেধড়ক মারধর-বাড়ি ভাঙচুর স্থানীয়দের
ওই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। খবর পেয়ে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিস। অভিযুক্ত গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।
শ্রীকান্ত ঠাকুর: টিউশন পড়তে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার। পেছেনে রয়েছে খোদ শিক্ষিকার বাবা। এমনই অভিযোগে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর, তার ঘর ভাঙচুর করল এলাকার মানুষজন। যদিও ওই অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষিকা ও তার পরিবার। আহত অভিযুক্ত এখন হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়ায়।
আরও পড়ুন-কুড়ি ডিগ্রির উপরে কলকাতার পারদ, সপ্তাহান্তে শেষ শীতের আমেজ
মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা অরূপ মহন্তর মেয়ে অনুশ্রী মহন্তের কাছে গতকাল টিউশন পড়তে আসে ৪ ছাত্রী। যে ছাত্রীটিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে তাকে ঘরে বসিয়ে রেখে কাছেই একটি দোকানে যান শিক্ষিকা অনুশ্রী। তাঁর দাবি, তিনি দোকান থেকে ফিরে সবাইকে পড়ান। পড়ুয়ারা বাড়িও চলে যায়। এরপর রাত নটা নাগাদ ওই ছাত্রীর মা অনুশ্রীকে ফোন করে বলেন তাঁর বাবা চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
ওই ফোনের পরই অভিযুক্তের বাড়িতে ছুটে আসে একদল লোক। তারা অরূপ মহন্তকে প্রবল মারধর করে, ঘর ভাঙচুর করে তছনছ করে দেয়। শিক্ষিকা অনুশ্রীর অভিযোগ টিউশন পড়ার সময়ে ওই ছাত্রীর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করিনি। ছাত্রীর মা ফোন করার পর আমি ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলি। সে জানায় কোনও খারাপ আচরণ করা হয়নি। আমার হাতে কাঁটা ফুটেছিল তা বার করে দেন দাদু।
নির্যাতিতা শিশুটির মায়ের দাবি, মেয়েকে রোজকার মতো পড়তে পাঠিয়েছিলাম। ওই টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরে এসে রাত দশটা নাগাদ মেয়ে বলে ওর শিক্ষিকার বাবার ওর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। খারাপভাবে স্পর্শ্ব করেছে। ওই কথা শুনে ওকে ফোন করি, ওর বাড়ি যাই। চাপ দিতেই উনি তা স্বীকার করেছেন। আমরা চাই ওঁর কঠিন সাজা হোক।
এদিকে, ওই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। খবর পেয়ে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিস। অভিযুক্ত গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।