মমতার বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ মুকুলের, কোচবিহারে জোড়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের
প্রথম দফার ভোটের ২টি কেন্দ্র কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের জন্য একজন পুলিস পর্যবেক্ষক থাকার কথা ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আগের সিদ্ধান্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কোচবিহার কেন্দ্রের জন্য ২ জন পুলিস অবজার্ভার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মধ্যে কোচবিহার-ই প্রথম, যেখানে একটি কেন্দ্রের জন্য ২ জন পুলিস অবজার্ভার নিয়োগ করা হল। পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের জন্যও পৃথক পুলিস অবজার্ভার নিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাত্ ১১ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের ২ কেন্দ্রের জন্য ৩ জন পুলিস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল।
উল্লেখ্য, কমিশন সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৬ লোকসভা কেন্দ্রের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, রানাঘাট, কলকাতা উত্তর, শ্রীরামপুর, আসানসোল- এই ৬টি কেন্দ্রকে নির্বাচন কমিশন এবার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন ভোটে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৪ জন পুলিস অবজার্ভার নিয়োগ করা হচ্ছে। তার মধ্যে ওই ৬টি কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে ১ জন করে পুলিস অবজার্ভার থাকবেন। বাকি ৩৬টি কেন্দ্রের দায়িত্বে মোট ১৮ জন পুলিস অবজার্ভার থাকার কথা জানিয়েছিল কমিশন। অর্থাত্, সেক্ষেত্রে ২টি করে কেন্দ্র পিছু একজন করে পুলিস পর্যবেক্ষক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সেই অনুযায়ী প্রথম দফার ভোটের ২টি কেন্দ্র কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের জন্য একজন পুলিস পর্যবেক্ষক থাকার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সকালেই কমিশন জানায়, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের জন্য আলাদা আলাদা পুলিস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ১৯৯১ ব্যাচের আইপিএস অলোক কুমার রায়কে কোচবিহারের পুলিস পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার কথা জানায়। পরে সন্ধ্যায় কোচবিহার কেন্দ্রের জন্য আরও একজন পুলিস পর্যবেক্ষকের নাম পাঠায় কমিশন। কে জগদেশন হলেন কোচবিহার কেন্দ্রের জন্য নিযুক্ত দ্বিতীয় পুলিস অবজার্ভার।
আরও পড়ুন, নকশালবাড়িতে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে পাহাড়ে ফের শান্তির বার্তা মমতার
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার বিবেক দুবে শিলিগুড়ি যান। সেখানে পুলিস পর্যবেক্ষক ও সাধারণ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর তারপরই এদিন দুই কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা ও কোচবিহারের জন্য ২ জন পুলিস পর্যবেক্ষকের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। যা নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই কোচবিহারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে 'ভোটে কারচুপি' করার অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অভিযোগ করেন, জেলাশাসক, বিডিও ও পুলিস সুপারদের উপরে চাপ বাড়াতেই একটানা ১২ দিন উত্তরবঙ্গে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, 'ললিপপ এনআরসি! বিদেশি বানানোর চক্রান্ত', ধুবড়ির সভা থেকে কড়া আক্রমণ মমতার
পাশাপাশি, প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার দাবি জানান তিনি। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে গতকাল জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের বাইরে ধরনাতেও বসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। প্রথম দফার নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে ১০০ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেন মুকুল রায়।