প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা

বুধবার ওই বৈঠক হওয়ার কথা

Updated By: Jun 18, 2019, 02:54 PM IST
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

লোকসভা ও রাজ্যসভায় যে সমস্ত দলের সাংসদ রয়েছে, সেই সব দলের সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল, বুধবার তাই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের বৈঠক ডেকেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকলে ফেরত দিন, কাউন্সিলরদের নির্দেশ মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। ফলে তাঁকেও ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি এ নিয়ে চিঠি লিখবেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী।

ওই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে এত কম সময়ে আলোচনা করা যায় না। এ নিয়ে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ও সব দলের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রকে তাঁর পরামর্শ, সব দলের কাছে মতামত চাওয়া হোক। তখন তিনি এ বিষয়ে গঠনমূলক পরামর্শ দেবেন।

আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার, দেহ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে টানাটানি

কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মোদী ওই বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চান। তার মধ্যে অন্যতম ‘এক দেশ, এক ভোট’। মোদী তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দফা থেকেই একসঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন করতে আগ্রহী। এতে সময় ও খরচ যেমন বাঁচে, তেমনই উন্নয়নের কাজ কম বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই যুক্তিতেই একসঙ্গে ভোট করাতে আগ্রহী মোদী।

আরও পড়ুন: চাকরির নাম করে ভুয়ো ওয়েবসাইট, প্রতারণা চক্রে ধৃত ২

সূত্রের খবর, এ নিয়ে তিনি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বসে আলোচনা করতে চান। তাঁদের মতামত জানতে চান। একই সঙ্গে কীভাবে এই ব্যবস্থা বলবত্ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে খবর। এছাড়া গান্ধীজির জন্মের দেড়শো বছর উদযাপন ও স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন নিয়ে আলোচনা হবে।

.