Chinsurah Murder: নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের মাশুল? চুঁচুড়ায় পিটিয়ে খুন যুবককে!
যে দোকানে কাজ করতেন, সেই দোকানে গিয়ে ওই যুবককে নাবালিকার বাবা-মা বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বিধান সরকার: নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে প্রেম? যুবকের উপর কাটারি ও বাঁশ নিয়ে চড়াও হলেন বাবা-মা। চলল বেধড়ক মারধর!শেষপর্যন্ত অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল, তখন ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা। গ্রেফতার নাবালিকার মা। ঘটনাকে কেন্দ্র তুমুল উত্তেজনা ছড়াল হুগলির চুঁচুড়ায়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রহিত রাম। বাড়ি, চুঁচুড়ারই কালীতলা এলাকায়। শহরের ঝিঙে পাড়া এলাকায় একটি মুদির দোকানে কাজ করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল তাঁর। অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে রোহিতের সম্পর্ক মেনে নেননি ওই নাবালিকার বাবা-মা। প্রেমিকাকে নিয়ে ৩ বার পালিয়ে গিয়েছিলেন রোহিত। পুজোর আগে বিহারের সমস্তিপুর থেকে ফিরিয়ে আনার পর ওই নাবালিকাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হোমে। রোহিতকে ঝিঙেপাড়ায় আসতে বারণ করেছিলেন ওই নাবালিকার বাবা-মা।
আরও পড়ুন: Siliguri Murder: মাথা-কানে আঘাতের চিহ্ন, বৌদির ঘরে মিলল দেওরের ক্ষতবিক্ষত দেহ
তারপর? ওই নাবালিকার বাবা-মা বারণ শোনেননি রোহিত। ঝিঙে পাড়া এলাকায় যে মুদির দোকানে কাজ করতেন, দিন কয়েক আগে ফের কাজে যোগ দিয়েছিলেন সেই দোকানেই। ঘড়িতে তখন ৯টা। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে দোকানে হাজির হন ওই নাবালিকার বাবা-মা। হাতে ছিল বাঁশ ও কাটারি। রোহিতকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। একসময়ে জ্ঞান হারান ওই যুবক। বেশ কয়েক ঘণ্টার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে কলকাতার হরিদেবপুরে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে খুন হয়ে গিয়েছেন অয়ন মণ্ডল নামে এক যুবক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। কেন এই খুন? এই ঘটনায় মৃতের বান্ধবী-সহ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণেই খুন করা হয়েছে অয়নকে। পুলিস সূত্রে খবর, দশমীর দিন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যখন তাঁর বাড়িতে যান, তখন বাঁশ, রড, ইট দিয়ে খুন করা হয় অয়নকে। এরপর দেহটি সরিয়ে ফেলার জন্য আনা হয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। কিন্তু মৃতদেহ দেখে বেঁকে বসেন গাড়ির চালক। টাকার লোভ দেখিয়ে শেষ।পর্যন্ত রাজি করানো হয় তাঁকে। সেই গাড়িটিও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।