মন্দারমণিতে খুন ফুটবলার দেবজিত্ ঘোষের হোটেলের ম্যানেজার

প্রায় ১৪ বছর ধরে মন্দারমণির এই হোটেলের ম্যানেজার ছিলেন দেবাশিস ঘোষ। বুধবার সকাল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি থানার অন্তর্গত ৭ মাইলে একটি দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে দেহটি নিখোঁজ দেবাশিস ঘোষেরই বলে সনাক্ত হয়।

Updated By: Nov 24, 2017, 07:03 PM IST
মন্দারমণিতে খুন ফুটবলার দেবজিত্ ঘোষের হোটেলের ম্যানেজার

নিজস্ব প্রতিবেদন : মন্দারমণিতে ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দেবজিত্‍ ঘোষের হোটেলের ম্যানেজার খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেলেরই এক কর্মীকে। টাকা-পয়সা নিয়ে বচসার জেরেই এই খুন বলে পুলিসি জেরায় স্বীকার করেছে ধৃত রেহানুল্লা। মৃতের নাম দেবাশিষ ঘোষ। অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ পুলিসের।

প্রায় ১৪ বছর ধরে মন্দারমণির এই হোটেলের ম্যানেজার ছিলেন দেবাশিস ঘোষ। বুধবার সকাল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি থানার অন্তর্গত ৭ মাইলে একটি দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে দেহটি নিখোঁজ দেবাশিস ঘোষেরই বলে সনাক্ত হয়।

এরপরই CCTV ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। অথচ তা বন্ধ থাকার কথাই নয় বলে দাবি হোটেলের মালিক তথা ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দেবজিত্‍ ঘোষের।

আরও পড়ুন- কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় বউমা-কে মার শ্বশুরের!

দেবাশিস ঘোষের সঙ্গে ওই হোটেলেই থাকত রেহানুল্লা। দেবজিতের হোটেলের নিচে একটি মদের দোকান রয়েছে। সেটাই দেখভাল করত সে। দেবাশিস ঘোষের নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকে তাকেও আর পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সহজেই পুলিসের স্ক্যানারে চলে আসে রেহানুল্লা। শুক্রবার সকালে পুলিস তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে রেহানুল্লা।

জেরায় রেহানুল্লা জানিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুনের পর, দেহ দোতলার ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে, নিজের স্করপিও গাড়ির তুলে হোটেল থেকে সে বেরিয়ে পড়ে। এরপর সাত মাইলের কাছে খালে ফেলে দেয় দেহটি। কিছুটা দূরে ফেলে দেয় তার ব্যাগ ও মোবাইল ফোনটি। তারপর গাড়ি বদল করে হোটেলে ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে পালায় সে।

সূত্রের খবর হোটেলের নিচে যে বার কাম মদের দোকান রয়েছে, সেখান থেকে নিয়মিত টাকা সরাত রেহানুল্লা। সেটাই সম্ভবত ধরে ফেলেন দেবাশিস ঘোষ। ফেরতও চান সেই টাকা। টাকা না দিলে মালিকদের সব কথা জানানোর হুমকিও দেন তিনি। সেই থেকেই রেহানুল্লার রোষে পড়েন ম্যানেজার। যেকারণে তাঁকে খুন করে রেহানুল্লা। ধারণা পুলিসের। এদিকে, খুনের ঘটনায় রেহানুল্লা একা নয়, আরও কেউ জড়িত রয়েছে বলে দাবি দেবাশিস ঘোষের পরিবারের।

অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত কালো রঙের স্করপিও গাড়িটি। রেহানুল্লার বাড়ি থেকে মিলেছে ২লক্ষ টাকাও।

.